বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা জাতিকে বিভক্ত করে শাসনের নামে শোষণের রাজনীতি করেছেন। তার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি, লুটপাটের রাজনীতি। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের পৌর ঈদগাহ মাঠে খেলাফতে মজলিস শেরপুর জেলা শাখা আয়োজিত ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, কোনো অজুহাতে স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। হাসিনা মনে করেছিলেন ভারত পাশে থাকলে কেউ তাকে উৎখাত করতে পারবে না। তবে মানুষ যখন ফুঁসে উঠলো, জীবন দিলো, হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে পতন ঠিকই ঘটলো। দেশের মানুষের রক্ত ঝরিয়ে কোনো স্বৈরাচারী শাসক ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, হাসিনাও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী দিনেও দেশের মানুষের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে, পদদলিত করে, দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ক্ষমতার মসনদে চিরদিনের মতো থাকার দুরভিসন্ধি কারও পূরণ হবে না।
জেলা খেলাফতে মজলিসের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী এবং সহ-বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান। গণসমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান, সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা মো. আব্দুল বাতেন, তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা সিদ্দিক আহমেদ, শেরপুর পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।