৫ই আগস্টের পরে ভুয়া একটি বয়ান সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে আবার নতুন করে মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পশ্বিমা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) এখানে সেখানে বিভিন্ন সাজানো ঘটনা করে এখন থেকে ১০, ২০ এবং ৫০ বছরের আগের ভুয়া ছবি ফেসবুক, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেখাতে চেয়েছিল যে, ৫ই আগস্টের পরে বাংলাদেশে আবার কোন একটি বিশেষ ধর্মাবলম্বীদের উপরে জুলুম করা হচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে, তারা পুনরায় ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে সংগঠনটির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, গত ১৫ বছর বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার মৌলবাদী প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে এবং বাংলাদেশকে একটি আইএস ও
আফগানিস্তান রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছে। সাজানো নাটকের মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বের সামনে তারা উপস্থানের চেষ্টা করেছে তারা। আমি তখন বলেছিলাম, এসব জুজুর ভয় দেখিয়ে পশ্চিমা উদার গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। সেই সরকার পারে নাই। আর পারে নাই বলেই ৫ আগস্ট ওই সরকারের নেতাকে দেশ ছেড়ে পলায়ন করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সফল হয়েছে। এই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পিছনে যে মূল চালিকা শক্তি, সেটি ছিল বিএনপির। আর রাজনৈতিক যে বিশ্বাস, সেটা আমরা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে পেয়েছি। উনি বলেছিলেন, ব্যক্তি চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। ড. মঈন বলেন, ধর্মীয় বিভেদ বিএনপি কখনো করে না। যার যার ধর্ম সে পালন করবে। আর জাতীয়তাবাদী ওলামা দল প্রমাণ করেছে তারা কোন মৌলবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।
ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ সংগঠন নেতারা বক্তব্য রাখেন।