বিরতিহীন ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলের কারণে তিস্তা নদীর তীরবর্তী লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
তিস্তাসহ ঐ অঞ্চলের নদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই আকস্মিক বন্যায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ইতোমধ্যে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন।
বন্যা কবলিত মানুষ চরম দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এলাকায় মানুষের মধ্যে অস্বস্তি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাস্তাঘাট, জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। এই অবস্থায় বন্যা উপদ্রুত ও আশেপাশের জেলাগুলোর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের বন্যার্তদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান। বিবৃতিতে নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসার পাশাপাশি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে দ্রুততার সাথে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনাসহ নদী ভাঙ্গনরোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান তারেক রহমান।
নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান: নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ এবং বিশেষ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এই রায় ঘোষণা করেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন তারেক রহমানের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে ‘রাজাকার’ পাকবন্ধু বলে মন্তব্য করেন। পরে যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এ ঘটনায় তারেক রহমানকে আসামি করে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বেগমগঞ্জ থানায় নোয়াখালী জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি করেন। পরবর্তীতে এ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া আরও বলেন, মামলার বাদী যুবলীগ নেতা মিথ্যা মামলা করেছে। এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা দায়ের ও হয়রানির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।