রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার ১৪ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন মামলার প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান, শামীম আল-মামুন ও রায়হান কবির।
আসামিরা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলে শঙ্কার কথা জানিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সম্প্রতি আদালতে দেওয়া এক প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রংপুরের তাজহাট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান এই আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- পুলিশের রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান ও আল ইমরান হোসেন, উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রাফিউর রহমান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্দির রহমান, আসাদুজ্জামান ম-ল, তাজহাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, এসআই বিভূতিভূষণ, ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, ছাত্রলীগের কর্মী টগর, বাবুল হোসেন ও শামীম মাহফুজ। আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও এএসআই আমির আলীসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার আরেক আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন গ্রেপ্তারের পর কারাগারে আছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ই জুলাই পুলিশের গুলিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এরপর ১৯শে আগস্ট রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজু আহমেদের আদালতে ১৭ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৩০-১৩৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী।