হাথুরুসিংহেকে কেন কি কারণে নিষিদ্ধ করা হলো? কেনইবা তাকে পদচ্যুত করার আগে আবার শো-কজ করা হলো? গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা নাগাদ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের কনফারেন্স হলে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের মুখে টাইগার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে সাসপেন্ড করা ও শো-কজ নোটিশ প্রদানের ঘোষণার মুহূর্ত থেকে ওপরের প্রশ্নটি সবার মুখে মুখে। বোঝাই যাচ্ছিল যে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর বাংলাদেশের প্রধান কোচ থাকছেন না বা তাকে রাখাও হবে না। কারণ হিসেবে ভাবা হচ্ছিল যে, বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ হাথুরুকে পছন্দ করেন না এবং তিনি মনেও করেন না যে হেড কোচ হিসেবে হাথুরুর বাংলাদেশ দলকে দেয়ার কিছু আছে এবং সে কারণেই হয়ত পদচ্যুত হতে পারেন হাথুরু। তাই হাথুরুসিংহে নিষিদ্ধ হওয়রর পর সবাই ধরেই নিয়েছেন যে বিসিবি প্রধানের পছন্দ নয় এবং হাথুরুর কোয়ালিটি ও পারফরমেন্স ফারুক আহমেদের কাছে সন্তোষজনক নয় বলেই হয়ত তাকে পদচ্যুত করা হয়েছে।
কিন্তু আসলে তা নয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে হাথুরুসিংহেকে নিষিদ্ধ করার কারণ ব্যাখ্যা করে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানালেন অন্য কথা। তিনি বলেন, ‘ঠিক পারফরমেন্সের কারণেই যে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে তা নয়। মূলতঃ তার বিপক্ষে গুরুতর অভিযোগ আছে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছেন। সে সঙ্গে শৃঙ্খলাভঙ্গেরও অভিযোগ আছে তার বিপক্ষে। একই সাথে চুক্তির বাইরে বেশি সময় ছুটি কাটানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিপক্ষে।’
বলা প্রয়োজন, বিসিবি সভাপতি হওয়ার আগে থেকেই ফারুক আহমেদ বলে আসছিলেন, তিনি মনে করেন না হাথুরুসিংহের আর বাংলাদেশ দলকে দেয়ার কিছু আছে এবং বোর্ড প্রধান হওয়ার পরও ঠিক একই জায়গায় স্থির ছিলেন তিনি। অবস্থান বদলাননি। গতকাল মঙ্গলবার জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলে বসেন, ‘হাথুরু ইস্যুতে আমি এখনো আগের অবস্থানেই আছি।’ মাঝখানে জাতীয় দলের টানা খেলা থাকায় ফারুক আহমেদ সময়ক্ষেপণ করলেও হাথুরু ইস্যুতে তার সর্বশেষ বক্তব্য ছিল যে, ‘আমরা বিষয়টাকে মাথায় রেখেছি। সময় হলেও দেখবেন। জানবেন।’ তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হয়েছিল, ফারুক আহমেদ বোধহয় ওই কারণই বলবেন; কিন্তু তা না করে তিনি জানিয়ে দিলেন মূলত জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে (নাসুম আহমেদ) লাঞ্চিত করার কারণেই তার বিপক্ষে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। বিসিবি সভাপতি দাবি করেন, হাথুরু যাকে লাঞ্চিত করেছেন, আমি নিজে তার সাথে কথা বলেছি। তার মতামত নিয়েছি। জেনেছি। স্ব-চক্ষে দেখা একাধিক সাক্ষীর মন্তব্যও শুনেছি। সব সাক্ষ্য প্রমাণের পরই এমন শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।