ইসরাইলের পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া লেবাননের সাথে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি রাজনীতিবিদ ও সাবেক যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ। গতকাল সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনি গ্যান্টজ সামাজিকমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে বলেছেন, লেবাননের সাথে নতুন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে। এর সাথে অবশ্যয় ইসরাইলের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
এর আগে গত সপ্তাহে ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার বলেন, লেবাননের সাথে যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে হিজবুল্লাহকে সম্পূর্ণরূপে নিরস্ত্র করা। একই সাথে হিজবুল্লাহ বাহিনীকে ইসরাইলের সীমান্ত থেকে সরিয়ে দেয়া নিশ্চিত করতে হবে। ইসরাইলের নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজও দাবি করেছেন, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী হিজবুল্লাহকে পরাজিত করেছে। এ মন্তব্যের এক দিন পরই বেনি গ্যান্টজ এ কথা বলেছেন। গত রোববার ইসরাইল জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর প্রধান মুখপাত্র মুহাম্মদ আফিফকে হত্যা করেছে।
সেপ্টেম্বরে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু এবং ইসরাইলি
বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর নিহত হওয়ার পর থেকে আফিফ বিশেষভাবে সক্রিয় ছিলেন। গত মাসে ইসরাইলি হামলার আগে আফিফ তড়িঘড়ি করে বৈরুতে একটি সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন। লেবাননের সেনাবাহিনী বলছে, রোববার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর আল-মারিতে এক সামরিক কেন্দ্রে ইসরাইলি হামলায় দু’জন সৈন্য নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে এবং ১২ লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। হিজবুল্লাহ প্রতি দিন ইসরাইলের ভেতরে রকেট নিক্ষেপ করছে, যার পাল্লা বৃদ্ধি পেয়ে এখন মধ্য ইসরাইল পর্যন্ত আঘাত হানছে। হিজবুল্লাহর রকেট আক্রমণে অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ইসরাইলি ৩১ জন সৈন্য। এর ফলে ৬০ হাজার ইসরাইলি তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা