গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে ১১টি হতদরিদ্র পরিবারকে ভিক্ষা না করা শর্তে ৩ লক্ষ ৫ হাজার টাকা দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলেন টুঙ্গিপাড়া সমাজসেবা অফিস। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের মাঝে ব্যবসার মালামাল বিতরণ করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুজ্জামান, উপস্থিত ছিলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি অফিসার মোঃ রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ এবং সমাজ সেবা অফিসার প্রকাশ চক্রবর্ত্তী। ১১ জন হতদরিদ্রদের মাঝে উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামের মোঃ হাচান গাজীকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মুদি মালামাল কিনে দেওয়া হয়। পাঁচকাহনিয়া গ্রামের হায়দার আলীকে ৫০ হাজার টাকার মুদি মালামাল কিনে দেওয়া হয়। পাটগাতী গ্রামের রোমান মুন্সীকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে পানের দোকানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আগাতাড়াইল গ্রামের আরফিন মোল্লাকে ৪০ হাজার টাকার মুদি মালামাল ক্রয় করে দেওয়া হয়। গওহরডাঙ্গা গ্রামের হতদরিদ্র মুনসুর আলীকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে মুদি দোকানের মালামাল কিনে দেওয়া হয়। গিমাডাঙ্গা গ্রামের ভ্যান চালক আঃ রাজ্জাক শেখকে ভ্যান মেরামত করার জন্য নগদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কুশলীর রহিমা বেগমকে হাঁস-মুরগি ও ছাগল পালন করে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য ৩৫ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয়। গিমাডাঙ্গা গ্রামের হাসান আলী ইমামকে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ফল কিনে দেওয়া হয় ব্যবসা করার জন্য। মোঃ ফারুক হাওলাদারকে ঝালমুড়ির ব্যবসা করার জন্য ১০ হাজার টাকার মালামাল কিনে দেওয়া হয়। গিমাডাঙ্গা গ্রামের নাসির মোল্লাকে গাছের চারা ও কাচাঁ মালের ব্যবসা করার জন্য ২০ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় করে দেওয়া হয়। বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলামকে মুদি দোকানের জন্য ৩০ হাজার টাকা মালামাল ক্রয় করে দেওয়া হয়। ১১টি হতদরিদ্র পরিবারকে ভিক্ষাবৃত্তি না করার শর্তে উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে এই আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুর হক। তিনি বলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ভিক্ষুক মুক্ত করার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। হতদরিদ্র পরিবার গুলো ভিক্ষাবৃত্তি না করে কর্মসংস্থান করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিক্ষুক ও হতদরিদ্র পরিবারগুলো এই আর্থিক ও কর্মসংস্থানের সহযোগিতা পেয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমাজসেবা অফিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।