পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বঙ্গোপসাগরের সম্ভাবনা উন্মোচন করার জন্য মিয়ানমারে শান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে প্রতিবেশী দেশে সম্প্রীতির জন্য রাখাইন রাজ্যে টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অপরিহার্য।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা সম্ভব হবে না, যতক্ষণ না মিয়ানমারে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে।
গতকাল রোববার(২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) রিকানেক্টিং দ্য বে অব বেঙ্গল রিজিয়ন: এক্সপ্লোরিং দ্য কনভারজেন্স অব ইন্টারেস্ট শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে মিয়ানমারসহ সমুদ্র উপকূলীয় রাজ্যগুলোতে শান্তি ও সম্প্রীতি অপরিহার্য।
মিয়ানমারে বর্তমানে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত সাত বছরে চরম নৃশংসতার শিকার হয়ে রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনে কোনও অগ্রগতি হয়নি এবং একটি অ-রাষ্ট্রীয় অভিনেতা, আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সঙ্গে সমগ্র সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাংককে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তার সাম্প্রতিক উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, তিনি তাদের সতর্ক করেছেন যে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন ছাড়া সেখানে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে না। গত বৃহস্পতিবার ওই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিয়ানমার ও লাওসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিবও যোগ দেন।পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা মিয়ানমার ও আঞ্চলিক শক্তির দায়িত্ব। বিআইআইএসএস এবং ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং ইকনোমিক্স (আইডিই-জেইটিআরও), বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।এতে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত গৌসাল আজম সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।