দেশের জনপ্রিয় মডেল হিসেবে স্বীকৃত সাদিয়া ইসলাম মৌ। বিশেষ দিবস বা আয়োজনে নাটক-টেলিছবিতেও অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। সেই ধারাবাহিকতায় অনেকদিন পর কাজ করলেন বিটিভির একটি নাটকে।
আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে নির্মিত এই নাটকের নাম ‘সোনার সিন্দুক’। মৌ অভিনীত নাটকটি ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে প্রচার হবে।
আলী ইমরানের রচনায় ও আনোয়ার হোসেন বুলুর চিত্রগ্রহণে প্রযোজনা করেছেন মাহবুবা ফেরদৌস। মৌ নাটকটিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এতে আরও অভিনয় করেছেন গোলাম কিবরিয়া, আজম খান, ফারুক আহমেদ, মাসুদ রানা মিঠু, ওবায়দুর রহমান, তাবাসসুম মিথিলা, গাউস-উল-আবেদীন, আলমগীর রহমান, দুরন্ত সাহা, অপর্ণা চৌধুরীসহ আরও অনেকে। নাটকের গল্পে দেখা যাবে, অলংকারপুরের জমিদার বাড়িটির সেই আগের জৌলুস আর নেই। জমিদার পরিবারের কেউ থাকে না এখানে। লাঠিয়াল হাশেম সর্দার লাঠি হাতে দিনরাত পাহারা দেয় এই জমিদার বাড়ী। জমিদার রাজা চৌধুরীর উইল করা ট্রাস্টেই চলে গ্রামের স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসা। ট্রাস্টের শর্তে আছে জমিদারী থেকে অর্জিত সম্পদের অর্ধেক পাবে শুধুমাত্র এই বংশের সৎ, চরিত্রবান, শিক্ষিত সন্তানরা।
রাজা চৌধুরীর ছোট ছেলের একমাত্র সন্তান সোহেল চৌধুরী বিদেশ থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছে। সে এই জমিদার বাড়িতেই থাকতে চায়। উইলের শর্ত মতো সে যদি নিজেকে সৎ ও চরিত্রবান প্রমাণ করতে পারে তাহলে পাবে ট্রাস্টের টাকা ও একটি সোনার সিন্দুক। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীসহ সোহেল চৌধুরী জমিদার বাড়িতে আসলে ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতিসহ গ্রামবাসী তাদের সাদরে গ্রহণ করে। রাতে সোহেল চৌধুরীর স্ত্রী উপমা সোনার সিন্দুক খোলার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে সিন্দুক খুলে টাকা-পয়সা ও সোনা যাই রাখে তাই দ্বিগুন হয়ে যায়। উপমা নিজের চেহারা দ্বিগুন সুন্দর করতে সিন্দুক খুলে ভিতরে ঢুকে পড়ে। কিন্তু সিন্দুক খুলে হবহু উপমার মতো দুজনকে দেখতে পেয়ে চমকে যায় সোহেল। এদিকে উইলের শর্ত মতো একাধিক নারীসঙ্গ প্রমাণিত হলে সবকিছু থেকেই বঞ্চিত হবে সে। সোহেল এখন কী করবে? এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।