রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
শত্রু থেকে দেশকে রক্ষা করতে ঐক্যবব্ধভাবে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ সরস্বতী পূজা আজ এসবিএসি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসা উন্নয়ন সম্মেলন ইসলামী ব্যাংকের সিলেট জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত এখন অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান শহীদ আলাউদ্দিনের স্ত্রী শেখ মুজিবের স্বৈরতন্ত্র হাসিনা ফিরিয়ে আনেন: আলী রীয়াজ কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে তৌহিদুলের মৃত্যু নিয়ে আইএসপিআরের বিবৃতি বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে, ছাত্ররা ক্যাম্পাসে : রিজভী দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন: বিদেশি সহায়তা বন্ধ করে নিজের পায়ে ‘কুড়াল মারছে’ আমেরিকা সাত কলেজের সমন্বয়ে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলছে

অবশেষে টাঙ্গাইলের আলোচিত সেতুটির উদ্বোধন, জনদুর্ভোগের অবসান

স্টাফ রিপোর্টার টাঙ্গাইল
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

অবশেষে টাঙ্গাইলের আলোচিত বেড়াডোমা সেতুটির উদ্বোধন করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক গতকাল রবিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির উদ্বোধন করেন। চার বছর পূর্বে এ ৪১দশমিক ৭ মিটার দৈর্ঘ্য এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন সেতুটির নির্মাণে ব্যয় ধরা ছিলো প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। সেতুটির নকশা পরিবর্তনের কারণে এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ১৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৯৬ টাকা ৫৬ পয়সা। জানা যায়, পৌরসভার নির্দেশনা না মেনে মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে আওয়ামীপন্থী সাব ঠিকাদার দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করার সময় দেবে যায়। এঘটনায় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তিননজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সেতুটি দেবে যাওয়ায় টাঙ্গাইলের পশ্চিমাঞ্চলের সাথে শহরের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের(টিপিআইআইপি) আওতায় এলজিইডির অর্থায়নে শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর উপর সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ৪১ দশমিক ৭ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণের কাজ পায় ব্রিকস এন্ড ব্রিজেস লিমিটেড অ্যান্ড দ্যা নির্মিতি নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৪১ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী (সাময়িক বরখাস্তকৃত) শিব্বির আহমদ আজমী জানান, তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্যের আওয়ামী বাহামভুক্ত লোকজন সেতুর ঢালাই কাজের আগে বালির বেড স্থাপন ও স্টীলের পাইপ দিয়ে সেন্টারিংয়ের কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও তারা মানেনি। তারা গজারী বল্লী দিয়ে সাটারিং কাজ করায় তা দেবে যায়। পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন ও তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে নিজ অর্থায়নে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মূল কাজটি সম্পন্ন করে। টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মিজানুর রহমান খান জানান, পরবর্তীতে সেতুর সৌন্দর্য্যবর্ধন ও আনুষঙ্গিক কিছু কাজের কারনে সেতুটি নির্মাণে ব্যয় বেড়ে ৪ কোটি ১৩লক্ষ ৫২হাজার ৯৯৬টাকা ৫৬ পয়সা দাঁড়িয়েছে।
অতিরিক্ত ব্যায় অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। রবিবার সেতুটির আনুষ্ঠানিক উ™ে¦াধন করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক(উপসচিব) শিহাব রায়হান, পৌর কমিটির সমন্বয়ক রেবেকা সুলতানা,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন প্রমুখ। এদিকে, সেতুটি ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, শ্রমিকনেতা ও কার্টুনিস্ট সৈয়দ আব্দূল মতিনের নামে নামকরনের জন্য জেলা গ্রশাসকের কাছে দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা জানান, লৌহজং নদী এক সময় খুব খরস্্েরাতা ছিলো। পশ্চিম্ঞ্চলের সাথে সরাসরি কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলোনা। টাঙ্গাইলের কৃতিসন্তান মরহুম সৈয়দ আব্দুল মতিন নদীর তীরে বসে সেতু নির্মানের জন্য আমরণ অনশন করেছেন। তার দাবির প্রেক্ষিতে নদীর উপর অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে সেতুটি ৩ বার ধ্বসে ও ভেঙ্গে যায়। এতে কয়েকবছর সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহায়। স্থায়ীভাবে দৃষ্টিনন্দন সেতুটি নির্মাণের মাধ্যমে সৈযদ আব্দূল মতিনের কর্মের স্বিকৃতি মিলেছে। তা জনসাধারণের স্মৃতিপটে ধারণের জন্য তার নামে সেতুটির নামকরণের দাবী জানান তারা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com