দেশে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে অবিলম্বে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ‘নির্বাচনের তারিখ’ ঘোষণা করার জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। সংস্কারও চলবে এবং নির্বাচনের তফসিলও চলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি উদ্যোগে ‘ফেলানী হত্যা দিবসে আগ্রাসন বিরোধী সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা বাংলাদেশে বসে শেখ হাসিনার গুণগান গাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে হবে, শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা আর কখনও বাংলাদেশের রাজনীতি করতে পারবে না। তাই আজকে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের সকল পদ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। তাদেরকে পদচ্যুত করতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও লেবার পার্টির পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ জানাবো, দেরি করবেন না। দেরি করলেই এমন অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। ষড়যন্ত্র পিছে লেগে আছে। অনতিবিলম্বে দেশে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করুন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের যে দলই ক্ষমতায় আসুক, আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন- আন্দোলনরত সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তি ভোট দিবে না, যে নির্বাচন ১৯৯১ সালের সততার মতো আলোচিত হবে।
ফারুক বলেন, কুড়িগ্রামে ফুলবাড়ী সীমান্তে বিনা উস্কানিতে বিএসএফ বাবার সামনে শিশু কন্যা ফেলানীকে হত্যাসহ সারা বছর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের হাতে নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যার উদ্বেগ জানাচ্ছি। এই ঘটনা ভারতের আগ্রাসী চরিত্র। ভারতকে সীমান্ত আগ্রাসন, বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, খুলনা মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ একেএম সাইফুদ্দোহা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন প্রমুখ।