শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন

টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন তামিমের বরিশাল

স্পোর্টস ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের প্রয়োজন ৮ রান, স্ট্রাইকে রিশাদ হোসেন। যিনি কিনা আগের ওভারেই হাঁকিয়েছেন দুর্দান্ত এক ছকা। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দেন তিনি। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্কোর লেভেল করেন রিশাদ। এরপর তানভীর স্ট্রাইকে গিয়ে এক বল ডট দেন। তবে পরের বল ওয়াইড হলে জয় নিশ্চিত হয় বরিশালের, উল্লাসে মেতে ওঠে লাল বাহীনীরা। খেলার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই মিরপুরের গ্যালারি ছিল বরিশাল সমর্থকদের দখলে। এতে মিরপুর পরিণত হয় লাল সমুদ্রে। সেখানেই টানা দ্বিতীয় আসরে বিপিএলের শিরোপা জিতলো তামিম ইকবালের দল। আজ মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বরিশাল। আগে
ব্যাটিং করে ১৯৪ রান করে চিটাগং। জবাবে ৩ বল বাকি থাকতে জয় পায় বরিশাল। বিপিএলে এটা বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে গত আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বরিশাল।
রান তাড়ায় অধিনায়ক তামিম ইকবাল দলকে এনে দেন দুর্দান্ত শুরু। একপাশে তাওহীদ হৃদয়কে দর্শক বানিয়ে মাত্র ২৩ বলে ফিফটি এই বাঁহাতি ওপেনার। পাওয়ার প্লে’তে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তোলে ফরচুন বরিশাল। চিটাগংও একই রান তুলেছিল পাওয়ার প্লেতে। অবশ্য ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ২৯ বলে ৫৪ রান করে শরীফুলের বলে আউট হন তিনি। তবে তাতেই রান তাড়ায় টোন সেট হয়ে যায়। যদিও এরপর দ্রুতই ফিরে যান ডেভিড মালান। এরপর ৯ বলে ১৬ রানের ক্যামিও খেলে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। তাতে দ্রুত ২ উইকেট হারানোর চাপ বোধ করতে হয়নি বরিশালকে।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে এগোতে থাকেন কাইল মায়ার্স। নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্রমশ জয়ের পথ প্রসশ্ত করেন তিনি। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। ১৮তম ওভারে মায়ার্সকে বিদায় করেন শরিফুল। এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। একই ওভারে বিদায় ঘণ্টা বাজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও।
শেষ দুই ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ২০ রানের। ১৯তম ওভার থেকে আসে ১২ রান। শেষ বলে মোহাম্মদ নবীকে ফেরান চিটাগংয়ের লঙ্কান পেসার বিনুরা ফার্নান্দো। ফলে শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ৮ রানের।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফির ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় চিটাগং কিংস। পাওয়ার প্লে’তে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে। ১২ ওবারে বিনা উইকেটে তাদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১১৫ রান। চিটাগং ৬৬ বলেই ছুঁয়ে ফেলে ১০০ রান। দলীয় ১২১ রানে নাফি আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি। বিপিএলের ফাইনালে এটাই প্রথম শতরানের জুটি। পাকিস্তানি এই তরুণ ব্যাটার ৪৪ বলে তিন ছক্কা ও সাত চারে ৬৬ রান করেছেন। আর ইমনের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৮ রান। এছাড়া ২৩ বলে ৪৪ রান করেন গ্রাহাম ক্লার্ক।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com