শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের কারো সম্পত্তিতে আর কোনো হামলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের কারো সম্পত্তিতে আর কোনো হামলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।’ অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরিভাবে ফেরাতে সকল নাগরিকের প্রতি আহ্বানের জানিয়ে বলা হয়, কোনো অজুহাতেই কোনো নাগরিকের ওপর আর যেন আক্রমণ না করা হয়। বিভিন্ন স্থানে হামলাকারীদের ক্ষোভের কারণ সরকার উপলব্ধি করতে পারে। ‘তাদের ও তাদের স্বজনদের বছরের পর বছর হাসিনার নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে, বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলার অবনতি বিশ্বকে ভুল বার্তা দেবে। নতুন বাংলাদেশের সমর্থকদের এমন কোনো আচরণ করা উচিত হবে না যা বর্তমানের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময়কার তুলনা করার সুযোগ করে দেয়, তা সেই তুলনা যতই অন্যায্য হোক না কেন।
এনএইচকে-কে ড. ইউনূস
নির্বাচন হতে পারে এ বছরের শেষে
এ বছরের শেষদিকে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত বুধবার জাপানের ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে (এনএইচকে) দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানান। ড. ইউনূস বলেন, ‘যখন আমরা ক্ষমতায় এসেছিলাম, ওই সময়ের পরিস্থিতি বললে, আমি মনে করি আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। কারণ এটি (ছিল) একটি বিধ্বস্ত সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচারিক ব্যবস্থা।’ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের সবচেয়ে দ্রুত সময় হতে পারে এ বছরের শেষ দিক। যখন নির্বাচন হবে, যারা নির্বাচিত হবে, তারা কাজ করার জন্য শক্তিশালী একটি ভিত্তি পাবে।’ তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘তরুণরা কী করতে চায়, তারা তাদের সৃজনশীলতার শক্তি প্রদর্শন ও পুরো বিশ্বের সঙ্গে এটি ভাগ করতে চায়। আমাদের মাথায় এই লক্ষ্য আছে, দেখা যাক আমরা কীভাবে আগাই।’ প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘জাপানের প্রযুক্তি এবং অর্থায়ন তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।’