ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সকল সহায় সম্বল ও ভিটে মাটি বিক্রি করে ২০০০সালে স্বামী হাসান সিকদার পারিজমায় আরব দেশে। কিন্তু বিধি বাম সেখানে দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় সে। একমাত্র কণ্যা ফারজানাকে নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে দিশেহারা হয়ে পরে বিধবা খাদিজা খানম বিউটি। একদিকে অভাবের যাতাকলে পিষ্ট আর অন্যদিকে পাওনাদারদের জ্বালাতনে অতিষ্ঠ হয়ে শিশু কণ্যাকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর এলাকার পূর্ববনগ্রাম থেকে পিত্রালয় একই এলাকার মজিদবাড়ি গ্রামে চলে আসেন তিনি। জীবন জীবীকার জন্য কয়েক বছর এনজিওতে চাকরিও করেছেন। কিন্তু এনজিও’র খারাব সময় আসলে অন্য সহকর্মীদের সাথে তাকেও চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়। একটি কাজের জন্য যখন অসহায় খাদিজা খানম বিউটি মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তখন তার বাল্যকালের বান্ধবি উপজেলার নারী উদ্যেক্তা কহিনুর সুলতানা হাঁস ও মুরগি পালনের পরামর্শ দেয়। আর তার সহযোগিতায় শুরুতে ৫০টি হাঁস দিয়ে খাদিজা খানম বিউটি গড়ে তোলেন একটি হাঁসের খামার। নিজের শ্রমের বিনিময়ে ধরা দেয় সাফল্য। ৫০টি দিয়ে শুরু করা হাঁসের খামারে বৃদ্ধিকরে শতাধিক এবং তা আরো বৃদ্ধি হয়ে বর্তমানে তার খামারে ৮শতাধিক হাঁস রয়েছে। সাথে অন্য খামারে ৩শতাধিক দেশীয় মুরগি দিয়ে শুরু করেছেন মুরগির খামার আর ২টি ছাগল দিয়ে আরো একটি ছাগলের খামারও শুরু করেছেন নারী উদ্যোক্তা খাদিজা খানম বিউটি। হাঁস মুরগি ও ছাগলের খামার করে নিজের বেকারত্ব ঘোঁচাতে পারলেও বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন সে। নিজের শ্রম আর কষ্টে গড়ে তোলা খামারে হাঁস-মুরগি ও ছাগলের খাবার কেনার জন্য প্রয়োজন অর্থের তাই লোনের জন্য ছুঁটেছেন কৃষি ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকে। কিন্তু ব্যাংক তাকে সহজ শর্তে লোন দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করে নারী উদ্যোক্তা খাদিজা খানম বিউটি বলেন ‘ ব্যাংকের কাছে লোন চাইতে গেলে তারা যে পরিমান কাগজপত্র চায় তা জোগার করা আমার মত দরিদ্র মানুষের পক্ষে সম্ভব না। আর তার ওপরে তারা লোনের জামানতকারী হিসেবে সরকারী চাকুরিজীবীদের নিয়ে আসতে বলে যা আমার নাই। আমার দাবী আমাদের মতো অসহায় নারী উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে লোন দেয়া হলে দেশে বেকার সমস্যার সমাধান হবে।’কালকিনিতে বিধবার জীবন যুদ্ধের হাতিয়ার হাঁস-মুরগি
কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সকল সহায় সম্বল ও ভিটে মাটি বিক্রি করে ২০০০সালে স্বামী হাসান সিকদার পারিজমায় আরব দেশে। কিন্তু বিধি বাম সেখানে দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় সে। একমাত্র কণ্যা ফারজানাকে নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে দিশেহারা হয়ে পরে বিধবা খাদিজা খানম বিউটি। একদিকে অভাবের যাতাকলে পিষ্ট আর অন্যদিকে পাওনাদারদের জ্বালাতনে অতিষ্ঠ হয়ে শিশু কণ্যাকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর এলাকার পূর্ববনগ্রাম থেকে পিত্রালয় একই এলাকার মজিদবাড়ি গ্রামে চলে আসেন তিনি। জীবন জীবীকার জন্য কয়েক বছর এনজিওতে চাকরিও করেছেন। কিন্তু এনজিও’র খারাব সময় আসলে অন্য সহকর্মীদের সাথে তাকেও চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়। একটি কাজের জন্য যখন অসহায় খাদিজা খানম বিউটি মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তখন তার বাল্যকালের বান্ধবি উপজেলার নারী উদ্যেক্তা কহিনুর সুলতানা হাঁস ও মুরগি পালনের পরামর্শ দেয়। আর তার সহযোগিতায় শুরুতে ৫০টি হাঁস দিয়ে খাদিজা খানম বিউটি গড়ে তোলেন একটি হাঁসের খামার। নিজের শ্রমের বিনিময়ে ধরা দেয় সাফল্য। ৫০টি দিয়ে শুরু করা হাঁসের খামারে বৃদ্ধিকরে শতাধিক এবং তা আরো বৃদ্ধি হয়ে বর্তমানে তার খামারে ৮শতাধিক হাঁস রয়েছে। সাথে অন্য খামারে ৩শতাধিক দেশীয় মুরগি দিয়ে শুরু করেছেন মুরগির খামার আর ২টি ছাগল দিয়ে আরো একটি ছাগলের খামারও শুরু করেছেন নারী উদ্যোক্তা খাদিজা খানম বিউটি। হাঁস মুরগি ও ছাগলের খামার করে নিজের বেকারত্ব ঘোঁচাতে পারলেও বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন সে। নিজের শ্রম আর কষ্টে গড়ে তোলা খামারে হাঁস-মুরগি ও ছাগলের খাবার কেনার জন্য প্রয়োজন অর্থের তাই লোনের জন্য ছুঁটেছেন কৃষি ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকে। কিন্তু ব্যাংক তাকে সহজ শর্তে লোন দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করে নারী উদ্যোক্তা খাদিজা খানম বিউটি বলেন ‘ ব্যাংকের কাছে লোন চাইতে গেলে তারা যে পরিমান কাগজপত্র চায় তা জোগার করা আমার মত দরিদ্র মানুষের পক্ষে সম্ভব না। আর তার ওপরে তারা লোনের জামানতকারী হিসেবে সরকারী চাকুরিজীবীদের নিয়ে আসতে বলে যা আমার নাই। আমার দাবী আমাদের মতো অসহায় নারী উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে লোন দেয়া হলে দেশে বেকার সমস্যার সমাধান হবে।’