সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০২ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম বন সংরক্ষক কার্যালয়ে দুদকের হানা মোটা ৭৭ জন কর্মকর্তাকে বদলি

দেলোয়ার হোসেন রশিদী (স্টাফ রিপোর্টার) চট্টগ্রাম
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঘুষ নিয়ে বদলি বাণিজ্যের অভিযোগে বনবিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরের নন্দনকানন এলাকায় বন সংরক্ষক ড. মোল্ল্যা রেজাউল করিমের কার্যালয়ে অভিযান চালায় সংস্থাটি। এসময় বন বিভাগের এ কর্মকর্তাকে টানা তিনঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের কর্মকর্তারা এবং বেশকিছু নথিপত্র জব্দও করা হয়। অভিযানের বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক মোল্ল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি একযোগে ৭৭ জন বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তাদের পছন্দমতো জায়গায় বদলি করা হয়।
প্রত্যেক বদলির জন্য লেনদেন হয় মোটা অঙ্কের টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা এ বদলি বাণিজ্যে লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বন সংরক্ষক ড. মোল্ল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ফেনীতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকার সময় একটি প্রকল্পে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মাহমুদ ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান বন সংরক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। আমরা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উনার কাছ থেকে পেয়েছি। তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে এখানে যোগ দেন। এরপর চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি একই দিনে তার স্বাক্ষরে ৭৭ জন কর্মচারী বদলি হয়। আমাদের কাছে অভিযোগ এখানে প্রতিটি বদলির জন্য অনেক টাকা লেনদেন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা বদলি বাণিজ্যে নেওয়া হয়েছে। এটা যাছাই-বাছাইয়ের জন্য আমরা এখানে এসেছি। তিনি আরও বলেন, ‘যাদের বদলি করা হয়েছে তাদের নিয়ম মেনে বদলি করা হয়েছে কিনা সেসব নথিপত্র আমরা নিয়েছি। প্রধান বন সংরক্ষককে আমরা দীর্ঘ তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। উনার আগের কর্মস্থলেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। উনি ফেনী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় একটি বাগান প্রকল্পে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। দুদকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তৎকালীন ঢাকার প্রধান বন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী দুইবার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেটা আলোর মুখ দেখেনি। আমরা এসব বিষয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি আমাদের কিছু তথ্য দিয়েছেন। কিছু নথিপত্র পেয়েছি। যেগুলো পাইনি সেগুলো কাল পাব। যারা বদলি হয়েছে তাদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। সবার বক্তব্য নেওয়ার পর, নথিপত্র যাছাই-বাছাই করে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেব। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বন সংরক্ষক ড. মোল্ল্যা রেজাউল করিমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টার পরও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com