বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রমজান সংযমী, ধৈর্যশীল ও মানবিক হতে শেখায়। গতকাল রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে ওলামা-মাশায়েখ ও এতিমদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
দেশের সবাই যেন শান্তিতে থাকে রমজানের প্রথম দিনে এই দোয়া করতে বলেছেন তিনি। সারাবিশ্বের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশেও রমজান ও ঈদ পালন করা যায় কি না, আলেম-ওলামাদের তা চিন্তা করার আহ্বানও জানান তারেক রহমান। তারেক রহমান বলেন, সবাইকে সংযমী হতে হবে। ভাল কাজে অন্যকে উৎসাহী করতে হবে। তবেই সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
সারা বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপনের বিষয়টি প্রায়ই চর্চিত হয় নানা মহলে। এবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ ব্যাপারে ভাবতে আলেম-ওলামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায় সারা বিশ্বে তাদের বড়দিন একদিনেই পালন করে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আমরা চিন্তা করে দেখতে পারি কি না, সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের মানুষ রোজা এবং ঈদ একই দিনে পালন করতে পারি কি না। এ বিষয়টি চিন্তা করার জন্য আমি আলেম-ওলামাদের অনুরোধ করব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। রমজান আমাদের শেখায় সংযম ও ধৈর্যশীল হতে। রমজান আমাদের শেখায় কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ উদযাপনের ব্যাপারে কেউ কেউ দাবি তুললেও সিংহভাগ আলেমের এতে
সায় নেই। তারা জানান, একই দিনে রোজা ও ঈদ উদযাপনের স্লোগানটি আবেগি, বাস্তবসম্মত নয়। চাঁদ দেখে রোজা রাখা এবং চাঁদ দেখে ঈদ উদযাপনের কথা বলা হয়েছে হাদিসে। একই দিনে রোজা ও ঈদ উদযাপনের কথা কোথাও বলা হয়নি। আলেমরা বলেন, সর্বক্ষেত্রে সৌদি আরব বা আন্তর্জাতিক অভিন্ন সময় মানা হলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বেলায় কী হবে? অঞ্চলগত ব্যবধানে দেখা যায়, আমরা যখন ফজরের নামাজ আদায় করি, সৌদির মানুষ তখন ঘুমিয়ে। আমাদের দেশে যখন এশার ওয়াক্ত, তখন ওই দেশে আসরের ওয়াক্ত শেষ হয় না। মাসের ক্ষেত্রে এক-দুই দিনের পার্থক্য খুবই স্বভাবিক নয় কি?
বিশেষজ্ঞ আলেমরা বলেন, যে বিষয় গোড়া থেকেই সম্ভব নয় বা যে বিষয় পালনে অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়, শরিয়ত কখনো এমন বিষয়ের আদেশ করে না। এজন্য বিশ্বব্যাপী একই দিনে রোজা ও ঈদ করা শরিয়তের নির্দেশ হতে পারে না।