শেষ মুহুর্তে ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন বিপনীবিতানগুলো। আর মাত্র সাতদিন পরেই হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ভোরবেলা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে দোকানে ক্রেতাদের উপচেপরা ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। রোজার দ্বিতীয় দশকেই জমে উঠেছে ঈদবাজার। জামা কাপড়ের পাশাপাশি এখন গহনা, জুতা স্যান্ডেল, ও কসমেটিকসের দোকানে বেশি ভীড় রয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মার্কেটগুলোতে বাড়ছে কেনাকাটার ব্যাস্ততা। উপজেলা সদরের বিপনী বিতান,শপিং কমপ্লেক্স,ছাড়াও ফুটপাতেও বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটার ধুম পরেছে। ২৪ মার্চ(সোমাবার) উপজেলা সদরের, মুফতিমার্ট, নবরুপা, শতরুপা, রুপসাগর, কাজী আনিসউদ্দিন সিটি, গ্রেটম্যান, ফাইভস্টারসহ বিভিন্ন বিপনীবিতান ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। কাজী আনিসউদ্দীন সিটির জামাকাপড় ব্যাবসায়ী মিরাজ মিয়া জানান,ভোর থেকেই ক্রেতারা আসছে মার্কেটগুলোতে, বেচাবিক্রী অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভাল। রুপসাগর মার্কেটের এক বিক্রেতা বলেন, গতবারের তুলনায় এবার পাকিস্থানী থ্রিপিসের চাহিদা বেশী, বেচাবিক্রীও ভাল। বিভিন্ন বিপনীবিতান ঘুরে দেখা গেছে, পাঞ্জাবী, পায়জামা, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহাংগা, বাচ্চাদের জামাকাপড়, কুর্তা, পুরুষের প্যান্ট, শার্ট, টি শার্ট সহ বিভিন্ন হরেক রকম পোশাকের দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কেনাকাটা করতে আসা শিরিন আক্তার নামে এক ক্রেতা জানান, গতবারের তুলনায় এবার থ্রীপিসের দাম তুলনামুলকভাবে অনেক বেশী। তবুও কেনাকাটা করতে হচ্ছে। কি করবো সন্তানদের ঈদের আনন্দ যাতে ভালমত হয় সেজন্যই দাম বেশি হলেও কিছু করার নেই। কেনাকাটা করতে আসা রুমা নামের এক গৃহবধু বলেন কাপড়চোপরের দাম এবার আগের তুলনায় বেশী। বিশেষ করে পাকিস্থানী থ্রীপিসের দাম বেশী, ভারতীয় থ্রিপিস বাজারে কম থাকায় পাকিস্থানী থ্রিপিসই বেশী পাওয়া যাচ্ছে, দামও অনেক বেশী। কসমেটিকস দোকানদার অপুর সাথে কথা বলে জানা যায়, কসমেটিকস কেনাকাটা এখনো চাপ বাড়েনি, হয়তো একদুই দিনের মধ্যে কসমেটিক্সের দোকানে ক্রেতাদের ভীর বাড়বে। বিক্রেতারা বলছেন সময় যতই গড়াবে বেচাবিক্রির ভীড় ততই বাড়বে।