লক্ষ্মীপুর থানাধীন খিদিরপুর সাকিনের তালতলা নামক এলাকায় শুক্রবার সকালে ব্যবসায়ী মোঃ হুমায়ুন নির্মাণাধীন বাড়ী সিঁড়ি, দেওয়াল, দোকান ভাঙ্গচুর ও সুপারী লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ বেল্লাল গংদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর থানা মোঃ হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে ইউছুপ, মানিক, খোকন, বেল্লাল সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ ইলিয়াছ বলেন তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর থানাধীন খিদিরপুর এলাকার তালতলা নামক জায়গায় মোঃ হুমায়ুন কবিরের মালিকীয় সম্পত্তিতে বসত বাড়ী ও একটি মার্কেট তৈরি করে। পাশ্ববর্তী বাড়ীর বেল্লাল গংরা এই জমি নিজেদের দাবি মামলা হামলা জড়িয়ে পড়ে। উভয়ের মধ্যে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন এবং স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সমাধান করার চেষ্টা করেও সমাধান হয়নি। এ ব্যাপারে বিবাদী বেল্লাল ও ইউছুপ গংরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জমির মালিকানা দাবি করে ১৪৪ ধারা একটি মামলা দায়ের করেন। দালাল বাজার ইউনিয়ন তৌহশিলদার তদন্ত করে বিষয়টি বাদী হুমায়ুন কবিরের পক্ষে জমির মালিকানার রায় প্রদান করেন। এতে আলাদতের মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ বেল্লাল ও ইউছুপ গংরা শুক্রবার সকালে বহিরাগত লোকজন নিয়ে ভবনের সিঁড়ি ও দেওয়াল ভাঙ্গচুর করে এবং বিরোধকৃত জমি সুপারী লুট করে নিয়ে যায়। প্রতিপক্ষকে হুমকি ধমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং হত্যা করে লাশগুম করার ও হুমকি দেয় তারা। এ ব্যাপারে কথা হলে হুমায়ুন কবির গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের প্রতিবেশী বেল্লাল গংরা ৬ শতাংশ জমি খরিদ সূত্রে মালিক। একাধিকবার স্থানীয়দের নিয়ে মাপঝোঁপ করে দেখা যায় তারা ৮ শতাংশের ও বেশি জমি দখল করে আছে এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে একটি মহলের সহযোগিতায় আমার মালিকীয় সম্পদ দখলের পাঁয়তারা করছে । আমাদের লোকজন কম থাকায় তারা বহিরাগত লোকজন এনে আমাদের জায়গা দখল করতে চায়, নারিকেল সুপারী লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করে। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি। এ ব্যাপারে কথা হলে বিল্লাল ও ইউছুপ জানান, হুমায়ুন কবির গংরা আমাদের জমি জোরপূর্বক দখল করে আছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা পারছিনা তাদের সাথে। সব জায়গা তারা প্রশাসনকে টাকা দিয়ে কিনে ফেলে এজন্য আমরা ন্যায় বিচার পাচ্ছিনা। ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের অভিযোগ সত্য নয়। যোগাযোগ করা হলে লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, অভিযোদের আলোকে তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।