এই প্রথম মুন্সীগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়নের বিষয় দীর্ঘ সময় আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী দুই মাসের মধ্যে মুন্সীগঞ্জে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ, আগষ্টে পুরে যাওয়া মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা ভবন পুন:নির্মাণ, কাটিখালি খালটি পুন:খনন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংস্কার, পুরান বাসস্ট্যান্ড থেকে ছনবাড়ি পর্যন্ত দুটি ব্রিজসহ ৪ লেনের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ভঙ্গুর গণসদন ভবনটি সংস্কৃতিক কর্মীদের ব্যবহার উপযোগী করে আগামীতে নির্মাণ করা হবে। দ্রুত সরকারি মেডিকেল কলেজ নির্মাণ শুরু করা হবে। দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরাচারী সরকারের আমলে জেলায় উল্লেখযোগ্য কোন কাজ নেই, যা হয়েছে কোটি কোটি টাকার হরিরলুট। সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১.০০ টায় মুন্সীগঞ্জ জেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি আলোচনা সভা শেষে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তরবর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব:) এসব কথা বলেন। উন্নয়ন মূলক সম্মেলনে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উপস্থিত ছিলেন। মুন্সীগঞ্জে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোঃ শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোঃ নিজাম উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ মফিদুর রহমান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, এসবি বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ গোলাম রসুল, প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলম, বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি জনাব একেএম আওলাদ হোসেন, এলজিইডি এর প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়াসহ দেশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় জেলার চলমান ও পরিকল্পিত অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তাঘাট উন্নয়ন, মুন্সীগঞ্জের রাস্তা সংক্রান্ত প্রকল্প ও কাটাখালী খাল উন্নয়ন প্রকল্প, মাওয়া ফেরিঘাট অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পসহ উন্নয়ন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এই সভার একটি বিশেষ অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রতœতাত্ত্বিক ও দর্শনীয় স্থানসমূহ নিয়ে প্রণীত “প্রতœকথা” নামক একটি তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় ভ্রমণবই এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। জেলা প্রশাসন, মুন্সীগঞ্জ-এর উদ্যোগে প্রণীত এই বইটিতে জেলার ৬টি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রতœতাত্ত্বিক ও দর্শনীয় স্থানসমূহের পরিচিতি, ইতিহাস, অবস্থান, ছবিসহ বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন সভায় উপস্থিত মাননীয় উপদেষ্টাবৃন্দ। সম্মেলণ শেষে তিন উপদেষ্টা সহ সকলে আগষ্টে শহীদদের কবর জেয়ারত করেন। এছাড়াও, জুলাই ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য “২৪ বিপ্লবের সূতিকাগার” বিষয়ক একটি বুকলিটও প্রকাশিত হয়। উক্ত বুকলিটে সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মুন্সীগঞ্জসহ দেশব্যাপী সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহের চিত্রসম্বলিত ধারাবাহিক বর্ণনা এবং মুন্সীগঞ্জের শহিদগণের ছবি ও শাহাদাতবরণের তথ্য উল্লেখ রয়েছে। এটি মুন্সীগঞ্জ জেলার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি সংক্ষিপ্ত সংকলন।