বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জাতীয় জাগরণের অগ্রদূত ওয়াজেদ আলী খান পন্নী (চাঁদ মিয়া) সদরপুরে তিল চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এ সোহাগ মার্জিত স্বভাবের কারণে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম উদ্বোধন ফরিদপুরে স্থায়ী প্রশস্ত ব্রিজের দাবীতে মানববন্ধন রামগতিতে হরিনাম মহাযজ্ঞে সরকারি কর্মকর্তা-জনপ্রতিনিধিদের মিলনমেলা কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী অবস্থান প্রেমের ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক অন্তরঙ্গ ছবি তুলে ভাইরাল করানোর ভয় দেখিয়ে টাকা নিতো মেঘলা শিশুদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা শীর্ষক সভা শ্রীমঙ্গলে আগাম জাতের আনারসের বাম্পার ফলন, ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি চাষিরা

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের প্রকল্পের মেয়াদ শেষে বাস্তবায়ন হয়েছে অর্ধেক

আব্দুল মান্নান কুষ্টিয়া :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৫৫ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি ৩৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এই অবস্থায় আবারও নতুন করে বাড়ানো হচ্ছে ব্যয় ও মেয়াদ। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পে ঘটছে এমন ঘটনা। সূত্র জানায়, মূল প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে মোট ২৭৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১২ সালের জানুয়ারি হতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ধরা হয়। ২০১২ সালের ৬ মার্চ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি ছাড়া প্রথম দফায় ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ব্যয় বাড়িয়ে প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ হয় ৬১১ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন করা হয়। এই প্রস্তাব ২০১৮ সালের ২১ জুন একনেকে অনুমোদন লাভ করে। পাশাপাশি ২০১৯ সালের জুনে প্রকল্পটির আন্তঃখাত সমন্বয় করা হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৪২ কোটি টাকা এবং মেয়াদ ২০১২ সালের জানুয়ারি হতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে প্রস্তাব পাঠানো হলে এর ওপর ২০২০ সালের ১২ মার্চ প্রথম পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুনর্গঠিত ডিপিপিতে প্রথম পিইসি সভার সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে পালন না করায় গত বছরের ২৬ আগস্ট প্রকল্পটির ওপর দ্বিতীয় পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সব শেষে এখন মোট ৬৮২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১২ সালের জানুয়ারি হতে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরে প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত নির্মাণ কাজের পরিধি ও ব্যয় বৃদ্ধি, জমির পরিমাণ ও ব্যয় হ্রাস, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, যানবাহন, এমএসআর সামগ্রী এবং অফিস সামগ্রীর ব্যয় বৃদ্ধি, নতুন কোড সংযোজন ইত্যাদি কারণে প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন প্রয়োজন দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ২০১৮ সালে পিডব্লিউডির রেট শিডিউল পরিবর্তন হওয়ায় প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে। এছাড়া প্রকল্পে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করা, নতুন ভৌত কাজ সংযোজন (আনসার ও ড্রাইভার ব্যারাক কাম গ্যারেজ নির্মাণ, সাব স্টেশন ভবন এবং জাতির পিতা ম্যুরাল স্থাপন), জমির পরিমাণ ও ব্যয় হ্রাস, নতুন স্থাপনার জন্য অতিরিক্ত ৮ একর জমির ব্যয় হ্রাসসহ প্রকল্পের মাস্টারপ্ল্যান সংশোধন, যন্ত্রপাতির ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় নতুন যন্ত্রপাতির অন্তর্ভুক্তিকরণ করায় ব্যয় বাড়ছে। এছাড়াও আসবাবপত্রের ব্যয় বৃদ্ধি এবং নতুন স্থাপনার আসবাবপত্র অন্তর্ভুক্তিকরণ (যেমন, ইন্টার্র্নি হোস্টেলের আসবাবপত্র), এমএসআর সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি, অর্থ বিভাগের অর্থনৈতিক কোড পরিবর্তনের কারণে নতুন কোড সংযোজন এবং প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে বাস্তবায়ন মেয়াদ বৃদ্ধি করায় ব্যয় বাড়ছে। প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। কেননা আমি (৫ জানুয়ারি) অবসরে যাচ্ছি। তাই এখন কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com