দেশের সিভিল কোর্টগুলোতে বিচারকদের আর্থিক এখতিয়ারের পরিমাণ বাড়ল। এ জন্য ‘দ্য সিভিল কোর্টস (অ্যামেনমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা এই অনুমোদন দেয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিচার সিভিল কোর্টে হয়ে থাকে। সিভিল কোর্টগুলোর বিচারিক এখতিয়ারের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সহকারী জজের আর্থিক এখতিয়ার (জমি বা সম্পত্তির মূল্য) দুই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখ টাকা, জ্যেষ্ঠ সহকারী জজের চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা এবং আপিল শুনানির ক্ষেত্রে জেলা জজের এখতিয়ার পাঁচ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যুগ্ম-জেলা জজ অনধিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মূল মোকদ্দমায় প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশ হতে উদ্ভূত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারাধীন কোনো আপিল বা কার্যক্রম জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরের বিধান রাখা হয়েছে। এটা আগে হাইকোর্টে যেতে হতো।’ বর্তমান আইনে পাঁচ কোটি টাকার কোনো আপিল হলে হাইকোর্টে যাওয়া লাগে। আইন সংশোধন হলে জেলা জজ সেই আপিল শুনানি করতে পারবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘২০১৬ সালে আইন করে সিভিল কোর্টগুলোর বিচারিক এখতিয়ার বাড়ানো হলেও হাইকোর্ট তা স্থগিত করে দেয়। ফলে নতুন করে আইন সংশোধন করা হচ্ছে।’
জানুয়ারির মধ্যেই দেশে আসছে করোনা ভ্যাকসিন: চুক্তির আওতায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত টিকা জানুয়ারির মধ্যে দেশে আসছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। গতকাল সোমবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় কোন কোন বিষয় এসেছে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘করোনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। করোনার ভ্যাকসিন তো আসতেছে, মুখ্য সচিব এটা কো-অর্ডিনেট করছেন। তিনি গতকাল একটা মিটিং করেছেন। ওনারা হয়তো আজকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।’ সিরামের ভ্যাকসিন কবে নাগাদ দেশে আসবে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ মাসের মধ্যে চলে আসছে আজকের মিটিংয়ে বলা হয়েছে। উনি (মুখ্য সচিব) বলেছেন, আশা করি এই মাসের শেষ দিকেই চলে আসবে।’
গত ৫ নভেম্বর অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ পেতে সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এই উদ্যোগের আওতায় প্রথম ধাপের ছয় মাসের প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা সিরামের। এরই মধ্যে সংবাদ প্রকাশিত হয়, ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটকে আগামী কয়েক মাসের জন্য করোনা ভ্যাকসিনের রফতানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা অস্বীকার করে ভারত সরকার।