শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

মহেশখালী জেটিতে লম্বা লাইন! যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই

কাইছার হামিদ মহেশখালী :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১

বাংলাদেশ সরকারের প্রায় মেগা প্রকল্প পর্যটক নগরী কক্সবাজারের মহেশখালীতে কাজ চলমান। যার দরূণ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জায়গা-জমির বিষয়ে বিভিন্ন পেশায় জড়িত মালিকদের যেতে হয় কক্সবাজরের সংশ্লিষ্ট অফিসসহ এলএ অফিসে। উপকূলীয় অঞ্চল পাহাড় সমৃদ্ধ দ্বীপ মহেশখালীতে আদমশুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যাা প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ। দ্বীপবাসীর দক্ষিণ দিকে যাতায়তের পথ হিসেবে উল্লেখযোগ্য মহেশখালী টু কক্সবাজার নৌ-পথ। যাতায়তের একমাত্র এ নৌ-পথটি বাঁকখালী নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা দিয়ে বয়ে গেছে। কিন্তু মহেশখালী টু কক্সবাজার যাতায়তের নৌ-পথটি খুবই বিপদজনকও বটে। সুদিন মৌসুমে ঢেউ একটু কম হলেও বর্ষা মৌসুমে উত্তাপ্ত ঢেউয়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনাও ঘটে। যার ফলে বিপদগামী হয়ে পড়ে যাত্রীরা। এ নৌ-পথ দিয়ে পারাপার করতে স্পীডবোটে সময় লাগে ১২-১৫মিনিট, জনপ্রতি ভাড়া- পঁচাত্তর টাকা এবং গামবোটে সময় লাগে ৪৫-৫০মিনিট, জনপ্রতি ভাড়া- ত্রিশ টাকা। বরঞ্চ যাতায়তের মাধ্যম বোটে উঠতে মহেশখালী জেটিতে লাইনে দাঁড়াতে হয় দীর্ঘক্ষণ! এতে দুর্ভোগে পড়ে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাওয়া-আসা করা যাত্রীরা। ঘাটে বিপুল সংখ্যক স্পীডবোট থাকার পরও যাত্রীদের সময় নষ্ট করে কর্তৃপক্ষ। তবে কেন এবং কি জন্য এমন আচরণ করে! জনমনে একটাই প্রশ্ন? সর্বদা জেটিতে এমন দৃশ্য প্রেক্ষাপট বটে! অপরদিকে খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে প্রখর রৌদ্রতেজে পুড়ে যাওয়া প্রবল উষ্ণ অনুভূতি নিয়ে মানুষের দুঃখ-দূর্দশার সীমা নেই বলে জানা যায়। তাঁরা আরো জানান, কিছু পরিচিত মুখ দেখলে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ নিজ থেকে স্বাগতম জানাইয়ে সরাসরি স্পিডবোটে তোলে। অভিযোগ উঠেছে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষের আচার-আচরণও খুবই নোংরামি স্বভাবের! সম্প্রতি উপজেলার ছোট মহেশখালীর এক জনপ্রতিনিধিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় শত শত মানুষের সামনে শারিরীক নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছে। নিরন্তর কর্তৃপক্ষের এহেন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বীপবাসীরা নিরবে জুলুম, নির্যাতন শর্য্য করে আসছে। তাই দ্বীপবাসীর দুঃখ, দূর্দশা দূর করার লক্ষ্যে গেল বছর থেকে উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের একাধিক ব্যানারে মহেশখালী টু কক্সবাজার সেতু আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলো এবং অদ্যবধি উক্ত দাবী অব্যহত রেখেছে দ্বীপের বসবাসরত জনসাধারণ। তবে অনেকে মনে করেন সেতু চাই আন্দোলন করে কি মহেশখালীবাসী কোন ধরণের ফলশ্রুতি হবে? এই নিয়ে প্রত্যন্তাঞ্চলের মানুষের মাঝে চলছে বিরতিহীন কানাঘুষা। দ্বীপাঞ্চলের শিক্ষিত ও সচেতন মহলের ভাষ্য- মহেশখালী টু কক্সবাজার নৌ-পথের হর্তাকর্তাদের অসাদু, স্বার্থন্বেষী ও আক্রামণাত্বক আচরণ থেকে পরিত্রাণ এবং অবিলম্বে মহেশখালী টু কক্সবাজার সেতু নির্মাণ করা লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সু-দৃষ্টি কামনা কামনা করেন। পাশাপাশি সেতু আন্দোলনের দাবী, যৌক্তিক দাবী বলে মনে করেন তাঁরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, যাত্রীদের হয়রানী বা সময় নষ্টের বিষয়ে যদি কেউ অভিযোগ করে তা খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেতু নির্মাণের ব্যাপারে তিনি জানান এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অবহিত করা হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com