কালারমারছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আবছারের নিরব কান্নায় আকাশচুম্বি। কোন ডুকুমেন্ট ও অভিযোগ ছাড়াই নিজের ভিটি ঘরকে অন্যজনের কাছে বিক্রয় করতে বাঁধা দিচ্ছেন তাঁর সহোদর ভাই মৌলভী আনোয়ার। এই নিয়ে এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের দুল্যাছড়ির বাসিন্দা কালারমারছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আবছার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সাংবাদিকদের জানান- তাঁর বেতনের টাকা দিয়ে ১৯৯৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর খালেদা খানমের নামে নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প মূলে একই এলাকার আব্দুর বারীর পুত্র শাহ আলম থেকে ঘরসহ ৩০শতক (৯০কড়া) দখলীয় ভিটি জমি ক্রয় করেন। এতে শান্তিতে তিনি যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু তিনি নাবির টানে শেষ বয়সে নিজের মাতৃভূমি কুতুবদিয়ায় চলে যাওয়ার জন্য ঘরসহ ভিটিবাড়ি বিক্রয় করতে ইচ্ছা প্রকাশ করলে পার্শ্ববর্তী হাসান আলীর পুত্র জয়নাল ও আজিজুর রহমানের পুত্র শামশুল আলম ওই ভিটাবাড়ী ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। স্থানীয় প্রতিবেশীদের ভাষ্য, স্যার একজন খুবই ভাল মানুষ। দীর্ঘদিন পূর্বে পাহাড়ি দখলীয় জায়গা ক্রয় করে ওই ভিটায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসরত আছেন। সম্প্রতি স্যার বর্তমান বাস্তুভিটা বিক্রয় করে মাতৃভূমি কুতুবদিয়ায় চলে যেতে চাইলে পক্ষান্তরে অভিযুক্ত মৌলভী আনোয়ার ওই বাস্তুভিটা বিক্রয় করতে গায়ের জোরে বাঁধা প্রদান করতেছে। তারা আরো বলেন একজন মানুষ গড়ার কারিগরের উপর এমন জুলুম অত্যাচার আসলেই খুবই লজ্জানীয়। যারদরুন এলাকার মানুষের মাঝে বিরতিহীন চলছে কানাঘুষা। এব্যাপরে মানুষ গড়ার কারীগর শিক্ষক নুরুল আবছার এর সাথে তাদের মধ্যে ওই ভিটাবাড়ীর মূল্য নির্ধারণ করে ক্রয়-বিক্রয়েরর জন্য এক চুক্তি বদ্ধ হন। এ অবস্থায় তাঁর বড়ভাই মৌলভী আনোয়ার উক্ত ভিটি বিক্রি করতে বাঁদসাধেন। কোন ডুকুমেন্ট ও অভিযোগ ছাড়াই এভাবে বাঁধা দেয়ায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী শিক্ষক আবছার পুলিশ সুপারসহ সংশিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।