ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পাইথল গ্রামের ভূমিহীন মোছাঃ নিলুফা আক্তার। নিজের থাকার জায়গা ছিলনা। তাই রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-তুফান-শীত ও কুয়াশা ঠেকিয়ে খড়কুটোর ছোট্ট খুপরি ঘরে ছিল তার বসবাস। প্রায় একই অবস্থা ছিল উপজেলার মশাখালী গ্রামের শিব্বির আহাম্মেদের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পাকা বাড়ি ও দুই শতক জমির খবরে যেন খুশির শেষ নেই তাদের। শুধু নিলুফা ও শিব্বির নয়, তাদের মতো গফরগাঁওয়ের ২০০টি হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবার মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে পাচ্ছেন পাকা বাড়ি। এতে উচ্ছ্বসিত তারা। তারা জানান, আমরা অনেক খুশি। আনন্দ লাগছে। আমরা দালান পাচ্ছি। শেখের বেটির জন্য দোয়া করি। আল্লাহপাক যেন তাকে আরও তৌফিক দান করেন। এছাড়াও সাবেক ২ বারের এমপি (জাতীয় পার্টি) এনামুল হক জজ মিয়াও ঘর পাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাবেক এই এমপি বলেন, আমার অনেক কিছুই ছিল। আমি ২ বারের এমপি ছিলাম, আজ আমি নিঃস্ব, পথের ভিখারী। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে ঘর দিচ্ছেন তাতে আমি আল্লাহর কাছে দুহাত তোলে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি। এদিকে সময়মতো বাড়ির কাজ শেষ করার পাশাপাশি মান ঠিক রাখতে সর্বদাই তদারকি করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ঘর তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী ২৩ শে জানুয়ারী সারা দেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এর পর চলতি মাসের মধ্যেই সমস্ত ঘর হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও জানান, বাথরুম, গোসলখানা, বারান্দাসহ ২কক্ষের সেমি পাকা ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।