১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিডিআরের গুলিতে নিহত সীতাকুণ্ড ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সেই সময়ের সাধারণ সম্পাদক শহীদ মহিউদ্দীন শামীমের সমাধিতে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেছেন। ২৪ জানুয়ারি সকাল এগারোটায় সীতাকুণ্ড পৌরসভা সংলগ্ন লাল দিঘীর দক্ষিণ পাড়ে শহীদ মহিউদ্দিন শামীমের সমাধিস্থলে সীতাকু- উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক এস এম রিয়াদ জিলানীর নেতৃত্বে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ পুস্পাঞ্জলী অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান। এসময় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ শহীদ মহিউদ্দিন শামীমের কবর জিয়ারতপূর্বক দোয়া ও মুনাজাত করেন। এতে অংশ নেন সীতাকুণ্ড ছাত্রলীগ নেতা রিপন মাহমুদ, ইলিয়াস কাঞ্চন, মাকসুদ খান, রূপন দেব, নিশান, সম্রাটসহ অন্যান্যরা। এসময় সীতাকু- উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন বলেন, শহীদ মহিউদ্দিন শামীম ছিলেন আওয়ামী রাজনীতির অকৃত্রিম বন্ধ, একজন সোনার চেয়ে খাঁটি বঙ্গবন্ধু সৈনিক। নতুন প্রজন্মের ছাত্রলীগকে ইতিহাস জানতে। শহীদ মহিউদ্দিন শামীমদের অবদান কখনোই ভুলার নয়। দলের জন্য একজন কর্মী হয়ে কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করা যায় তার জলন্ত উদাহরণ শহীদ মহিউদ্দিন শামীম। তাঁর রাজনৈতিক জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে ছাত্রলীগকে এগিয়ে যেতে হবে। উল্লেখ্য ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বিকালে লালদিঘি ময়দানে সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সমাবেশে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান ২৪ জন নেতাকর্মী। শহীদ মহিউদ্দিন শামীম ২৪ জনের একজন। ২৪ জানুয়ারি লালদিঘীর ঘটনায় অন্য নিহতরা হলেন- মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথেলবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।