বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অন্যতম একটি গ্রাম বলরামপুর। শিক্ষিত লোকের হার অনেক এই গ্রামে। একতা, সংঘবদ্ধতা সব মিলিয়ে শান্তিতে বসবাস এই গ্রামের মানুষের। কিন্তু হঠাৎ সেই সুখ কেড়ে নিল সেই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী একটি খাস পুকুর। যার আয়তন তিন একর একুশ শতক। বতর্মান ভেঙ্গে যার আয়তন দাড়িয়েছে প্রায় পাচ একরের কাছাকাছি। এই পুকুরটি উত্তর বেলাই মৌজার সাবেক দাগ ৪৩৫ দাগে অবস্থিত। যাকে গ্রামের মানুষ “দাম” নামে ডাকে। পুকুরের চারদিকের পাড়গুলো সংস্করণ না করায় গত কয়েক বছর যাবৎ তা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে পাশের বাশঝাড়, মানুষের ফসলি জমি সব গ্রাস করে নিচ্ছে। পুকুরের মাঝে বিলিন হয়ে যাচ্ছে কয়েক বছরের পুরনো কবর। পুকুরে বিলিন হয়ে যাওয়া কবর গুলো গ্রামবাসী চিহ্নিত করে লাল কাপড় ঝুলে রেখেছেন। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছেন বেশ কয়েকটি পরিবার। মোতাহার হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমরা খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পুকুরের পাড়ের শেষ সিমানায় নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করছি। এই পুকুরটির পাড় ভেংগে আমাদের নিজস্ব জমির কিছু অংশ পুকুরের মাঝে চলে গেছে। অতি দ্রুত পুকুরের সংস্করণ করা না হলে যেকোন সময় আমাদের ঘর বাড়িও এই পুকুর গ্রাস করে নিতে পারে। আমরা আমাদের সন্তান -সন্ততি নিয়ে খুব বিপদে পরে যাব। তফসির সরকার নামের জনৈক ব্যক্তি বলেন, আমরা গরিব মানুষ। এই দামের পাড়ে আমার বাবার কবর দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই কবর আজ এই পুকুরের মধ্যে চলে গেছে। আমরা সেই কবরকে চিহ্নিত করে রাখার জন্য কয়েকটি লাল পতাকা টানিয়ে রেখেছি। এই গ্রামের সকল মানুষ মিলে কয়েকবার মানব বন্ধন করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। অনেক সাংবাদিক এসেছে,নিউজ করেছে,কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবি এম নাজমুল কাদির শাহজাহান আলী বলেন, এ বিষয়ে অতি দ্রত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আমি বিষয়টি উপর মহলের কাছে তুলে ধরব যাতে যত তাড়াতাড়ি পারা যায় স্থানটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, সরকারি ভাবে সংস্করণের জন্য আপনারা ভূমি অফিসে একটি আবেদন জমা দেন। আমরা কাজ আসলে আপনাদের এই পুকুরের সংস্করণ কাজ করার চেষ্টা করব।