সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন

এখনও আছে ১৩৬ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন ও ২২ হাজার চুলা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

এখনও ১৩৬ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন আর ২২ হাজার ৪৯টি চুলা রয়ে গেছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয় জ্বালানি বিভাগ। কিন্তু গত ৬ দিন আগে জ্বালানি বিভাগের এক প্রতিবেদন বলছে, এখনও দেশে চিহ্নিত এই পরিমাণ অবৈধ সংযোগ রয়ে গেছে। সরকারি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ গ্যাস লাইনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির। তিতাসেই ১২৮ কিলোমিটার অবৈধ লাইন রয়েছে। আর বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির রয়েছে ৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে চুলার মধ্যে ২১ হাজার ৮৫৪টি তিতাসের আর বাখরাবাদের রয়েছে ১৯৫টি।
গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত তিতাস ৬২০ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন অপসারণ করেছে। আর তিন লাখ ৯ হাজার ১৫৯টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি ১২ হাজার ২৬৪টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে আর ৩৭ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করেছে। জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, আগে বিদ্যমান লাইনের মধ্যেই মানুষ অবৈধ চুলা নিতো। এখন একেবারে পাইপ লাইন বসিয়ে অবৈধ লাইন তৈরি করে গ্যাস সংযোগ নিয়ে নেয়। এখানে শুধু চুলার লাইন কাটলেই হয় না পাইপ লাইনও অপসারণ করতে হয়। গত ২১ জানুয়ারি জ্বালানি বিভাগে অবৈধ গ্যাস লাইন অপসারণ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (অপারেশন) বলেন, যেসব ব্যক্তি গ্যাস বিতরণ কোম্পানিতে কাজ করেন তারাই অবৈধ গ্যাস লাইন দিয়ে থাকেন। এখানে অন্য পেশার লোক গ্যাস লাইন দিতে পারে না। ফলে তাদের আগে সতর্ক করতে হবে। ওই বৈঠকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ অপসারণ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন) মো. আবুল মনসুর বলেন, আবাসিকের পাশাপাশি শিল্পে বৈধ সংযোগ আছে কীনা। অথবা কোথাও মিটার টেম্পারিং করে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে কীনা তা দেখার জন্য বিতরণ কোম্পানিকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে শিল্প সংযোগগুলো বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষণ করবেন। সেখানে কোনও অনিয়ম পাওয়া গেলে তা কমিটিকে জানাবে।
সূত্র বলছে, জ্বালানি বিভাগ সারাদেশের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য এই কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবৈধ সব গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আদেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশের পর সারাদেশের ৫৮০ কিলোমিটার অবৈধ সংযোগ অপসারণ করে। একইসঙ্গে তিন লাখ ২৫ হাজার ৫৫৯টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। তবে সব চিহ্নিত লাইন অপসারণ করতে পারেনি বিতরণ কোম্পানি। মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, কেবল মাত্র অবৈধ চিহ্নিত লাইনগুলো অপসারণ হচ্ছে। এর বাইরে যেগুলো চিহ্নিতই হয়নি সেগুলো থেকেই যাচ্ছে। এজন্য প্রত্যেক এলাকার জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আরও জোরেশোরে কাজ করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে। এজন্য জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিকে আগামীতে এ সংক্রান্ত বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে।-বাংলাট্রিবিউন




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com