মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলের সাজার রায়ের কপি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পূর্বাচল ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কুয়েত সরকার থেকে আমরা পাপুলের রায়ের কপি পেয়েছি। এটা ৬১ পৃষ্ঠার রায়। এই রায়ের কপি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদকে দিয়েছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পাপুলের বিরুদ্ধে এখন কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা পার্লামেন্ট ঠিক করবে।
২৮ জানুয়ারি কুয়েতের ফৌজদারি আদালত পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদ- দেয়। একইসঙ্গে তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল (৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়। কুয়েতের ফৌজদারি আদালত পাপুলের সঙ্গে সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাজেন আল জারাহকেও চার বছরের কারাদণ্ড ও ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল জরিমানা করে। মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গত বছর ৬ জুন পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের পুলিশ। পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছিল কুয়েতি প্রসিকিউশন। সেই সময় পাপুলের প্রতিষ্ঠানের একজন হিসাবরক্ষকসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ দেয়া, অর্থ পাচার, মানব পাচার এবং ভিসার অবৈধ লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর পাপুলের মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়। ৬ মাস বিচার প্রক্রিয়া শেষে তাকে ওই সাজা দেওয়া হয়।