লেখক মুশতাকের মৃত্যু
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিচার এবং মশাল মিছিল থেকে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে আটক অন্যান্য বন্দিদের মুক্তির দাবিতে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। বেলা সোয়া ১২টার দিকে ছাত্র সংগঠনগুলো সচিবালয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে দেড়টার দিকে কর্মসূচি শেষ করে। এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বামপন্থি ৮টি সংগঠন টিএসসির রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। শিক্ষা ভবন এলাকায় আসার পর তারা পুলিশি বাধার শিকার হন। পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে অবস্থান নেন। তারপর সেখানেই দাঁড়িয়ে তারা ঘণ্টাখানেক বক্তব্য, স্লোগানের মধ্য দিয়ে কর্মসুচি পালন করে। বক্তারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। ভবিষ্যতে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে বড় কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রয়োজনে গোটা দেশ অবরোধ করে দেয়া হবে। পরবর্তী কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে। ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশে দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। যার শিকার লেখক মুশতাক। এখনও কিশোর জেলে। মশাল মিছিলে হামলা হচ্ছে। পরে আবার দোষ চাপিয়ে মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। তাই আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা জেলের তালা ভেঙে বন্দিদের মুক্ত করবো। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে একটি বর্বর, কুখ্যাত আইন করা হয়েছে যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যারাই কথা বলছে, মত প্রকাশ করছে তারা রাজাকার হচ্ছে। আমরা এই আইন বাতিলের জন্য প্রয়োজনে জীবন দিবো। বিল্পবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, আজ ৯টি সংগঠন আমরা একত্রিত হয়েছি। আমরা ৮ জন বন্দির মুক্তি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও লেখক মুশতাকের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। কারাগারে মুশতাক মারা গেলেন। কারাগারে লেখা থাকে রাখিবো নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ। কিন্তু কি আলোর পথ আপনারা দেখালেন? আমরা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাই না। কারণ এই পুলিশ এত অপকর্ম করেছে তাদের কাছে কিছু চাওয়ার নাই। পুলিশ এখন ভোট চুরিতে সহযোগিতা করে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে। পাহাড়ের এক ওসি অপরাধের আস্তানা গড়ে তুলে। তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ ৭৩ সালে ছাত্রদের দিয়ে ব্যালট চুরি করিয়েছে। নৌকা মার্কায় ভোট না দেয়ায় এক নারীকে ধর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবো। আমাদের সমন্বিতভাবে আন্দোলন করে যাবো।