যেসকল টিভিতে সাধারণ টিভি ফিচার্সগুলো ছাড়াও আরো অনেক স্মার্ট ফিচার্স বিদ্যমান থাকে তাকে স্মার্ট টিভি বলে। মূলত স্মার্ট টিভিগুলোর প্রসেসর সাধারণ টিভি থেকে অনেক বেশি শক্তিশালি ও ক্ষমতাধর হয়ে থাকে। পূর্বে স্মার্টটিভি জনপ্রিয়তা না থাকেলেও ২০০০ সালের পর থেকে স্মার্ট টিভির ধারণাটা পুরো বিশ্বব্যাপি আলোচিত হয়। আর তারই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে কোরিয়ান প্রযুক্তি জায়েন্ট কম্পানি সর্বপ্রথম একটি স্মার্ট টিভি তৈরি করেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট টিভির প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন বিডিস্টল.কম থেকে।
একটি স্মার্ট টিভিকে শুধু টিভি বললে ভুলই বলা হবে কারণ এটিতে আপনারা টিভির বাহিরেও অনেক কাজ করতে পারবেন। একটি স্মার্টফোনে আপনারা যে সকল সুবিধা পেয়ে থাকেন তার প্রায় শতভাগই একটি স্মার্টটিভি থেকে পেতে পারেন। এখানে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য রয়েছে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ও একাধিক ইন্টারফেস। এছাড়াও স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায়।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অপারেটিং সিস্টেম হলো এন্ড্রোয়েড। এছাড়াও আরো একটি অপারেটিং সিস্টেম টিভিতে ব্যবহার করতে দেখা যায় আর সেটা হলো ওয়েব ওএসও । এই অপারেটিং সিস্টেমগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই যে কোন ধরনের এপস বা সফ্যটওয়্যার এখানে রান করা যায়। আর এই এপগুলো ব্যবহার করে আপনারা ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সরাসরি ইউটিউব দেখা, ফেসবুক চালানো, ভিডিও কল করার মত প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারবেন। এসকল টিভিতে অনেক ডিফল্ট এপ আগে থেকেই ইনিস্টল করা থাকে তারপরও আপনারা যদি চান আপনাদের পছন্দ মত এপস ও সফটওয়্যার গুগল প্লে থেকে ডাউনলোড করে টিভিতে ইনিস্টল করে ব্যবহার করতে পারবেন। অনেক স্মার্ট টিভিতে গেম খেলে অনেকে বেশ মজা পেয়ে থাকে আপনারা চাইলে আপনাদের পছন্দের গেমটিও টিভিতে খেলতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে আপনাদের অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইস যেমন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সাথে টিভিকে সরাসরি কানেক্ট করে যুক্ত করতে পারবেন। স্মার্টটিভি প্রস্তুত কারক কয়েকটি সেরা ব্রান্ড হলো স্যামস্যাং, সনি, এলজি, শাওমি এছাড়াও আরো অনেক ছোটখাটো নামিদামি ব্র্যান্ড রয়েছে।