বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ইরাকে ঐতিহাসিক সফরে পোপ ফ্রান্সিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১

এক ঐতিহাসিক সফরে শুক্রবার ইরাকে পৌঁছেছেন পোপ ফ্রান্সিস। দেশটিতে এটিই প্রথম কোনো পোপের সফর। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এটি পোপ ফ্রান্সিসেরও প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সফর।
করোনাভাইরাস ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে পোপের এই সফর বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে গণমাধ্যমগুলোতে উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু ৮৪ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, তিনি সফরের জন্য ‘দায়িত্বে আবদ্ধ’ ছিলেন।
সফরে ইরাকে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসা খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করবেন পোপ। এছাড়া ইরাকের প্রধান শিয়া মুসলিম নেতার সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে আন্ত-ধর্মীয় সংলাপ এগিয়ে নিতেও প্রচেষ্টা চালাবেন তিনি। ইরাকের উত্তরে অবস্থিত ইরবিল শহরের এক স্টেডিয়ামে গণ জমায়েতে অংশ নেবেন পোপ ফ্রান্সিস। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্যকে পোপের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জারি রয়েছে কারফিউ।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমি বিমানবন্দরে পোপকে অভিবাদন জানান। বিমানে পোপ বলেন, আবারও ভ্রমণ করতে পেরে তিনি খুশি। তিনি বলেন, ‘এটি একটি প্রতীকী সফর এবং এই ভূমির প্রতি এটি কর্তব্য যে ভূমি অনেক বছর ধরে শহীদ হয়েছে।’
সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর গত দুই দশকে ইরাকে খ্রিস্টান জনসংখ্যা কমতে কমতে ১৪ লাখ থেকে আড়াই লাখে পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ খ্রিষ্টান।
ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক হামলার সময় সহিংসতা এড়াতে সেখানকার অনেক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী অন্য দেশে পালিয়ে যায়। এরপর ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট ইরাকের উত্তরাঞ্চল দখল করলে সেসময় আরেকটি বড় সংখ্যক খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী ইরাক ত্যাগ করে। আইএস সেখানে খ্রিস্টানদের গির্জা ধ্বংস করে ও সম্পদ দখল করে। তাদের শর্ত দেয়া হয়- কর দিতে হবে অথবা ধর্মান্তরিত হতে হবে, নয়তো মৃত্যু মেনে নিতে হবে।
পোপের সফরের মূল উদ্দেশ্য ইরাকে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হওয়া খ্রিস্টানদের সাহস যোগানো। এছাড়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাবেন।
২০১৪ সালে আইএস বাহিনী ইরাকের নিনেভেহ অঞ্চল দখল করার পর সেখানকার যেসব খ্রিস্টান কুর্দিস্তান অঞ্চলের ইরবিলে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তারা এই সফরকে সামনে রেখে পোপের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com