বহু পুরোনো কালর্ভাট তিনবার সংস্কার পর আবারো কালভার্টের উপরাংশে ভেঙে যায়। তারপর হতেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্হায় ভাঙা কালভার্ট দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে রাতের বেলায় পথচারীসহ গ্রামবাসীদের কালভার্টটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এটি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল-নেকমরদ মহাসড়ক ঘেঁষা মীরডাঙ্গী হয়ে কাতিহার পাকা রাস্তার সড়কের বাজেবাক্সা এলাকায় পাবনী এলাকায় এই ব্রিজটি। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন সড়কের মাঝে রয়েছে ব্রিজটি। এটি ভেঙে যাওয়ায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় মানুষসহ যানবাহন চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টটি ভঙ্গুর অবস্থায় দেখা গেছে। এটি মেরামতে বা নতুন করে সংস্কারে খোঁজ নেই স্হানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্টদের। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পুরোনো এ কালভার্ট নিয়ে প্রশাসনের নেই কোনো তাগাদা আর মাথা ব্যথা। সেতুর মাঝখানে প্রায় ৩ ফিট ভেঙে গর্ত হয়ে রড বের হয়ে যাওয়া কালভার্টে প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে। ব্রিজ সংলগ্ন জমিতে খাল খননের কাজ শুরু হলে কালভার্টটি রয়েছে ঝুঁকিতে। সারাবছর ধান গম সবজি মৌসুমে চাষীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার জন্য দাবি জানিয়েছন এলাকাবাসী। জানা যায়, একাধিকবার সংস্কার হওয়া এই সেতুটি পথচারী ও যানবাহনের চলাচলে ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। ভেঙে নতুন করে কালভার্টটি নির্মাণ করলে তবেই সাধারণের দুর্ভোগ কমবে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা যায় বছর তিনেক আগে মীরডাঙ্গী হয়ে কাতিহার হাট পযর্ন্ত প্রায় ৯কিলোমিটার সড়ক নতুন করে নির্মাণ করা হয়। তবে সে-সময় বিভিন্ন জটিলতায় ঐ ব্রিজটির অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় নতুন করে এ ব্রিজটি নির্মাণ সম্ভব হয়নি। জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম জানান, কালভার্টটি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। প্রকল্পের বরাদ্দ অনুমোদন হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।