শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৭তম সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে -আমান শ্রীমঙ্গলে নারী চা শ্রমিক-কর্মজীবী নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য নিয়ে সংলাপ কালীগঞ্জে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম : আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বগুড়ার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের স্মরণসভা দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে-রেজাউল করিম বাদশা দুর্গাপুরে আইনজীবীদের মানববন্ধন কয়রায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে জলঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ দুর্গাপুরে শেষ হলো দুইদিন ব্যাপি কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ

ভোলার দুর্গম চরে ক্যাপসিকাম চাষে বিপ্লব

বাসস :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১

জেলার বিচ্ছিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষের বিপ্লব ঘটিয়েছে চাষিরা। ভোলা সদরের মাঝের চর ও দৌলতখানের চর মদনপুর এলাকায় প্রায় ১৫০ একর জমিতে চাষ হচ্ছে সবজি ক্যাপসিকাম। গত বছরের চেয়ে এ বছর চাষিদের সংখ্যা ও আবাদের পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণ। কম খচর ও স্বল্প পরিশ্রমে অধিক লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ৫-৬ বছর আগে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মনির পাঠান নামে এক চাষি সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর ও দৌলতখান উপজেলার চর মদনপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেন। তার সফলতা দেখে চরে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে অন্য চাষিরা । এরপর থেকে মাঝের চর ও চর মদনপুরে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় ক্যাপসিকাম চাষ। বর্তমানে দুই চরে প্রায় সাড়ে ৩’শ জন চাষি ক্যাপসিকাম চাষ করছেন।
মাঝের চর এলাকার মোঃ ছিদ্দিক মিয়া জানান, গত ৪ বছর ধরে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন তিনি। প্রতিবছরই ভালো লাভ হচ্ছে। এবছরও তার প্রায় ১ একর জমিতে ১ লাখ টাকা খরচ করে চাষ করেন। এ পর্যন্ত দেড় লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেন। এখনও ক্ষেতে যে পরিমাণ ফলন আছে তাতে আরো ২ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন।
একই এলাকার চাষি মোঃ হারুন মিঝি জানান, এবছর ক্ষেতে কোন প্রকার পোকা-পাকড়ের আক্রমণ নেই। প্রতিবছরই ক্যাপসিকাম চাষ করে এ চরে চাষিরা লাভবান হলেও এবছর আরো অধিক লাভবান হবে চাষিরা। তিনি আরো জানান, আগে এ চরে ২৫-৩০ জন চাষি ক্যাপসিকাম চাষ করতো। এ সবজি অধিকলাভ জনক হওয়ায় বর্তমানে প্রায় ২০০ জন চাষি মাঝের চরে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন।
চর মদনপুর এলাকার মোঃ ফরিদ জানান, চর মদনপুরে প্রায় ১৫০-২০০ জন চাষি ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। ক্ষেত থেকে আমরা ক্যাপসিকাম তুলে কার্টুনের ভরে ট্রলারে করে ভোলায় নিয়ে যাই। এরপর ভোলা থেকে লঞ্চযোগে ঢাকার পাইকারী বাজারে বিক্রি করি। এতে আমাদের খরচ বেশি হয়। যদি আমরা সরাসরি ভোলার বাজারে বা ঢাকার পাইকারী বাজারে বিক্রি করতে পারতাম তাহলে আমরা আরো বেশি লাভবান হতে পারতাম।
তিনি আরো জানান, ক্যাপসিকাম চাষে আমরা এখন পর্যন্ত কোন সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ বা সহযোগিতা পাই নাই। যদি সরকারিভাবে আমরা প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা পাই তাহলে আরো বেশি চাষ হতো।
ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদরের মাঝের চর ও দৌলতখানের চর মদনপুরেই ক্যাপসিকাম চাষ হচ্ছে। গত ২০১৯-২০২০ সালে ৩৭ হেক্টর ও ২০২০-২০২১ সাথে ৭০ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে।
ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মোঃ এনায়েত উল্লাহ জানান, ক্যাপসিকাম লাভজনক ফসল হওয়ায় প্রতিবছরই আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী বছর ক্যাপসিকাম চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা করা হবে। এতে আগামীতে চরাঞ্চলে ক্যাপসিকাম চাষের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com