শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

ইসলাম গ্রহণ করায় বছরে ১৭৮৮ রান করতে পেরেছি: মোহাম্মদ ইউসুফ

স্পোর্টস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১

২০০৫ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম ছেড়ে মুসলমান হওয়ার কারণে মহান আল্লাহ তা’আলার কাছ থেকে বিশেষ উপহার পেয়েছেন বলে বিশ্বাস পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইউসুফের। যে কারণে ২০০৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটে ১৭৮৮ রান করতে পেরেছেন তিনি। যা কি না এখনও এক বছরে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড।

জন্মের পর প্রায় ৩১ বছর ছিলেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মোহাম্মদ ইউসুফ, তার নাম ছিলো ইউসুফ ইউহানা। ওয়ালিস মাথিয়াস, আনতাও ডি সুজা এবং ডানকান শার্পের পর চতুর্থ খ্রিষ্টান ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তানের হয়ে খেলেন ইউসুফ। ২০০৪ সালে পাকিস্তানের প্রথম অমুসলিম অধিনায়কও হন তিনি।
তবে ২০০৫ সালের জুনে খ্রিষ্টান ধর্ম ছেড়ে ইসলামের পথে আসেন তখনকার ৩১ বছর বয়সী ইউসুফ। নিজের নাম বদলে করেন মোহাম্মদ ইউসুফ এবং স্ত্রী তানিয়ার নাম বদলে রাখেন ফাতিমা।
খ্রিষ্টধর্ম ছেড়ে মুসলিম হওয়ার পর খেলা ২০০৬ সালে খেলা প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে ১৯৯ বলে ১৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংসের দেখা পেয়েছিলেন ইউসুফ। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। সে বছর টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন মোট ৯টি। যেখানে ছিলো হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরির রেকর্ডও।
সাফল্যম-িত এই ২০০৬ সালকে আল্লাহ্র তরফ থেকে আসা বিশেষ উপহার হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইউসুফ। সম্প্রতি উইসডেনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ধর্মান্তরিত হওয়ার গল্প শুনিয়েছেন তিনি। যেখানে উঠে আসে তার ইসলাম গ্রহণের পেছনের ঘটনাও।
ইউসুফ বলেছেন, ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে কেউ আমাকে জোর করেনি। এখানে সত্যটা হলো, আমি সাঈদ আনোয়ারের খুব কাছের বন্ধু ছিলাম। মাঠ এবং মাঠের বাইরে আমাদের দারুণ বন্ধুত্ব ছিলো এবং কিশোর বয়স থেকেই আমরা একসঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমি সাঈদের সঙ্গে এতো সময় কাটিয়েছি যে ওর বাবা-মা আমাকে তাদেরই ছেলে মনে করতো।
তিনি বলেন, আমি যখন ওদের বাড়িতে যেতাম, দেখতে পেতাম তারা কী সুন্দর শান্তিপূর্ণ এবং শৃঙ্খলার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে। এটা আমাকে সত্যিই ভাবিয়েছে। সাঈফ আনোয়ার ধর্মপ্রাণ হওয়ার আগে থেকেই আমি ওকে দেখছি। তারপর ওর মেয়ের মৃত্যুর পর ও পুরোপুরি ধর্মের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। যা আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা ছিলো এবং এটাই আমার ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণ।
এসময় স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে ইউসুফের ২০০৬ সালের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গ। তখন তিনি এটিকে সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকে আসা পুরস্কার হিসেবেই উল্লেখ করেন। তিনি এটিও বলেন যে, ধর্মকর্ম শুরুর পর নিজের ভেতরে অন্যরকম শান্তি অনুভব করেছেন।
ইউসুফের ভাষ্য, ২০০৬ সালে আমি অনুশীলন বা ট্রেনিংয়ে বিশেষ কিছু করিনি। ২০০৫ সালের শেষদিকে আমি মুসলিম হয়ে যাই এবং প্রথমবারের মতো নামাজ আদায় করি। এরপর আমি দাঁড়ি রাখা শুরু করি এবং নিজের মধ্যে অন্যরকম শান্তি অনুভব করি। যা আমার রাস্তায় আসা সকল চ্যালেঞ্জ জিততে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি যোগ করেন, আমার কাছে সবসময় মনে হয়েছে, ২০০৬ সালের অসাধারণ পারফরম্যান্স আল্লাহ্র কাছ থেকে বিশেষ উপহার ছিলো, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায়। আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের বছরের পর বছর ধরে টিকে থাকা রেকর্ডটি ভাঙতে পারব। কিন্তু আমি যেহেতু শান্ত এবং স্থিতধী ছিলাম এবং মানসিক দিক থেকে নিজের সেরা অবস্থায় ছিলাম, তাই আমার মনে হয়েছে কোনোকিছুই আমাকে থামাতে পারবে না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com