তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রোডমার্চ কর্মসূচীর উদ্বোধনী সমাবেশ থেকে এই আহবান জানানো হয়।
বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় পাঠচক্রের সদস্য নিখিল দাস ও জুলফিকার আলী। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
উল্লেখ্য, ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও সরকারের নতজানু নীতির প্রতিবাদে এবং তিস্তাসহ সকল নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী রোড মার্চ কর্মসূচি আগামী ২১ মার্চ নীলফামী জেলার তিস্তা ব্যারেজে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে সমাপনী সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
উদ্বোধনী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মানব দেহের শিরা-উপশিরার মতো ছড়িয়ে থাকা নদী ও পলি দিয়ে গঠিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি আজ পানির অভাবে মরুকরণের হুমকির মুখে। এই অভাব প্রাকৃতিক কারণে নয়, মানুষের সৃষ্টি। চীন, নেপাল, ভুটান ও ভারত থেকে আসা নদীগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করে জালের মতো ছড়িয়ে গেছে। এই নদীগুলোই বাংলাদেশের প্রাণ প্রবাহ। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন ও নীতি লঙ্ঘন করে ভারত ৫৪টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পানির প্রবাহ কমে গিয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে দেশের অভ্যন্তরে নদী দখল ও দূষণ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যাসহ ভারত থেকে আগত সকল আন্তর্জাতিক নদীর পানি বণ্টনের বিষয়টি ভারতের শাসকগোষ্ঠী রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়ে সমস্ত প্রকারে বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে চলেছে। বাংলাদেশের বর্তমান ভোট ডাকাতির সরকারসহ অতীতের সকল সরকার নির্লজ্জভাবে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের প্রতি নতজানু থেকেছে।
তিনি আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা আসবেন। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দোহাই দিয়ে ভারত সরকার তিস্তা চুক্তি পাশ কাটিয়ে গেছে। এটা একটা ছেলে ভুলানো যুক্তি। যা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।