সাদুল্লাপুর সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় এর প্রচেষ্টায় অসহায় হতদরিদ্র কলিমন বেওয়া ভাতা কার্ডের টাকা পাইলেন। জাতীয় পরিচয়পত্র নাথাকায় গত দুবার বয়স্ক ভাতা কার্ডের টাকা পাননি এই বৃদ্ধা। তাই জাতীয় পরিচয়পত্রের সমস্যা সমাধান করে দ্রুত টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন মানিক চন্দ্র রায়। সরে জমিনে জানা যায়- সাদুল্লাপুর উপজেলার ৪নং জামালপুর ইউনিয়নের পাতিলাকুড়া গ্রামের মৃত শেরু শেখের স্ত্রী কলিমন বেওয়া অন্যের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন মতে জীবনপাত করে আসছে। এরই মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র নাথাকায় বয়স্ক ভাতা কার্ডের টাকা দুবার পায়নি। বড় আশা নিয়ে চলে আসেন সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্রের নিকট। সব শুনে বুঝতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে জটিলতা। তাই বৃদ্ধাকে সাথে নিয়ে চলে গেলেন নির্বাচন অফিসে। নির্বাচন অফিসার লুৎফর রহমান অনেক চেষ্টা করেও কোন তথ্য উদঘাটন করতে পারলেন না। এদিকে সমাজসেবা অফিসার নাছোরবান্দা যেভাবে হোক বৃদ্ধাকে টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেই হবে। তিনি ইউনিয়ন সমাজকর্মী নাজমুলকে দায়িত্ব দিলেন বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটন করার। নাজমুল বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন বৃদ্ধার আইডি কার্ড হয়নি। বৃদ্ধাকে কাগজপত্র নিয়ে অফিসে আসতে বলেন। বৃদ্ধা অফিসে আসলে মানিক চন্দ্র সাথে নিয়ে নির্বাচন অফিসে যান। নির্বাচন কর্মকর্তা কাগজ অস¤পূর্ণ থাকার পরেও মানবিকতার কারণে ভোটার করে নেন। মানিক চন্দ্র ভোটার ¯ি¬প রেখে পুনরায় ভাতা কার্ডের টাকা প্রদানের জন্য বৃহ¯পতিবার ব্যাংক কর্মকর্তাকে ফোনে জানিয়ে দেন। এরপর কলিমন বেওয়া ভাতা কার্ডের টাকা পেয়েযান। টাকা পেয়ে ছলছল নয়নে কলিমন বেওয়া বলেন- আল্লাহ বাবার ভাল করবেন।পাতিলাকুড়ার ওয়ার্ড সদস্য কালাম বলেন- কলিমন বেওয়া হতদরিদ্র মহিলা। তার জটিল সমস্যা সমাধান করে টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন এই জন্য ধন্যবাদ সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মানিক চন্দ্র রায়।