সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

অবৈধ বালু উত্তোলনে নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকাবাসীর

মঞ্জুরুল আহসান নালিতাবাড়ী (শেরপুর) :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১

চারদিকে উৎসবের আমেজ। এই উৎসব কোনো জাতিগোষ্ঠির নয়। এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তির। দিন রাত চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহা উৎসব। সারারাত ড্রেজার মেশিনের উচ্চ শব্দে নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকাবাসীর। শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলনে নদীর বুকের চর ও বালু শেষ হয়ে গেছে। তাই বালু খেকোরা এখন হামলা করেছে তীরে। সেই সাথে নদীর বুক চিরে ৪০/৫০ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি করে লুট করছে ভূ-গর্ভস্থ বালু। সমস্ত নদী ও তীর এখন বালু উত্তোলনকারীদের হামলায় ক্ষত বিক্ষত। এই অসাধু ব্যক্তিদের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে এখন আবাদী জমিতে। ধ্বংস করে দিচ্ছে নদী তীরের গাছপালা। কৃষকের সেচ সুবিধার জন্য নদী তীরে নির্মিত হয় বিএডিসির সেচ পাম্প। বেশ কয়েকটি সেচ পাম্প বালু উত্তোলনের কারণে হুমকীতে রয়েছে। বালুভর্তি অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক চলাচলে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন-সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত বালূ উত্তোলনের মেশিন অকার্যকর করছেন। জব্দ করছেন উত্তোলিত বালু। তবুও থামছে না বালু খেকোদের নগ্ন থাবা। ভোগাই নদীতে-নয়াবিল বাজারের উত্তরে, ডাক্তারগোঁফ, মন্ডলিয়াপাড়া, হাতিপাগাড় মোড়, গোবিন্দনগর এবং চেল্লাখালী নদীর বারোমারি, সালেহাবাদ কৃষ্ণপট্টিতে মহা উৎসবে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। স্থানীয়রা জানান, চেল্লাখালী নদীর সালেহাবাদ কৃষ্ণপট্টিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। বালুভর্তি গাড়ি চলাচলে গ্রামীন রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসী। তবুও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভিন মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com