বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

সংরক্ষণের অভাবে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ভুজপুর কাজীবাড়ী

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১

অযত্ন, অবহেলা, আর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা জরাজীর্ণ ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর কাজী বাড়ি প্রায়ই নিচিহ্ন হওয়ার পথে। বাড়ির দেয়ালগুলোতে এখন উঠেছে ছোট ছোট বটবৃক্ষের চারা। নানা ধরনের লতাপাতায় ছেয়ে গেছে বাড়ির দেয়ালগুলো। ধসে পড়েছে উপরের ছাদ। ভুজপুরের কাজির হাট বাজারে দক্ষিণ পশ্চিম পার্শ্বে একটি টিলার উপর অবস্থিত বাড়িটি বর্তমানে কাজী বাড়ি বা মিঞা বাড়ি নামে পরিচিত। ষাট কক্ষের বিশাল প্রাসাদ এখন অনেকটা বিলীন হয়ে গেছে। সংস্কার আর সংরক্ষণের অভাবে দিন দিন বিলুপ্তির পথে উপজেলার ভুজপুরের এ ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি। বাড়ির চারপাশের পরিখাঁ এখন আর নেই। এখন আর প্রতি রাতে বসেনা নাচ গানের আসর। নেই জমিদারের সোনা রূপাখচিত আলিশান চেয়ার। প্রতি বছর এখন হয়না রাজপুণ্যাহ উৎসব। দেয়াল দরজা জানালার প্রতিটি অংশে মোগল স্থাপত্যের ছোঁয়াও এখন মুছে গেছে। বাড়ির উপরের তলার ফাঁসির মঞ্চটিও এখন আর নেই। চার পাশের দেয়ালগুলোই শুধু ঠাই দাঁড়িয়ে আছে। তবে কাজী বাড়ি যাওয়ার একশ গজ আগে উত্তর পার্শ্বে চোখে পড়বে নয়নাভিরাম মোগল স্থাপত্যের স্মৃতি কাজী বাড়ি মসজিদ। তিনটি গম্বুজ আর ১২টি ছোট মিনারযুক্ত মসজিদটি। আড়াইশত বছর আগে তুর্কী প্রকৌশলীরা চুন সুরকির দিয়ে নির্মাণ করেছিলেন এ মসজিদটি। কালের আবর্তে মুসল্লি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৯৭-৯৮ সালে এর বারান্দা নির্মাণ করা হয় বলে জানা গেছে। বর্তমান জমিদার বংশধররা জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী বহু স্মৃতিবিজড়িত কাজি বাড়ী সংরক্ষণের জন্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে তারা লিখিত অনেক আবেদন নিবেদন করেছেন। কিন্তু এটির সংস্কার বা সংরক্ষণে সরকারি কোনো প্রকার সহায়তা পাওয়া যায়নি। কালের সাক্ষী ভূজপুরের ‘জমিদার বাড়ি’বাড়ির দেয়ালগুলোতে ছোট ছোট বটবৃক্ষের চারা। নানা ধরনের লতাপাতায় ছেয়ে গেছে দেয়ালগুলো। ধসে পড়েছে উপরের ছাদ। ষাট কক্ষের বিশাল প্রাসাদ এখন অনেকটা বিলীন হয়ে গেছে। একসময় এখানে ছিল জমিদারের সোনা-রুপা খচিত বিশাল চেয়ার। প্রতিরাতে বসতো নাচ গানের আসর। কাজী বাড়ির বংশধর কাজী হামিদ বলেন, আমাদের বাপ-দাদারা এখানে বসে জমিদারি কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে সংস্কার করলে এখানে পর্যটন স্থাপনা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে বেঁচে থাকা জমিদার পরিবারের বংশধর স্কুলশিক্ষক কাজী ইকবাল হোসেন জানান, তখন জমিদার হায়দার আলীর আমলে জমিদারির আওতায় মোগল স্থাপত্যের আদলে ২৪টি মহাল ১২টি তরফ ছিল।এ ছাড়া ছিল ২২টি দীঘি, ২২টি মসজিদসহ বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠান। অনেক রাস্তাসহ ২২টি (হাতিরপুল) ব্রিজ কালভার্টও নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৭৬৫ থেকে ১৮৪৫ সাল সময়ে এগুলো নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর তাদের বংশধর।কাজী বাড়িতে একটি ফাঁসির মঞ্চ ছিল। এলাকার সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে এমন ধারণা থাকলেও এটি নিয়ে জমিদার বাড়ির লোকজনের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন কথা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com