স্বাধীনতা দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানে গুলিবর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রংপুর মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশি বাধায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড় সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে দলটি। প্রতিবাদ সমাবেশের আগে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে তা পুলিশি বাধার কারণে মূল সড়কে যেতে পারেনি। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের তর্কাতর্কি হয়। পরে পুলিশি বাধায় মিছিল নিয়ে সড়কে নামতে না পেরে কার্যালয়ের প্রবেশদ্বারে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এতে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, যুগ্ম সম্পাদক আনিছুর জামান লাকু, মির্জা বাবর বাবলু, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি শাহ্ নেওয়াজ লাবু, মহানগর স্বে”ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আরিফিন হোসেন র“বেল, যুবদলের সহসভাপতি ফরহাদ হোসেন পিন্টু প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সরকার মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করার পর এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও কেড়ে নিয়েছে। সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান দলীয় উদযাপনে পরিণত করে স্বৈরতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দিশেহারা হয়ে পুলিশ দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ চালাচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই আটক করা হচ্ছে। এ সময় স্বাধীনতা দিবস ও সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ জানান বক্তারা।একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে সরকারদলীয় সংগঠন ও পুলিশ বাহিনীর হামলা, গুলিবর্ষণ ও হত্যাকান্ডের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ব্যর্থতার দায়ে সরকারপ্রধানকে পদত্যাগের আহ্বান জানান তারা। সমাবেশে রংপুর মহানগর বিএনপির নেতারা ছাড়াও সহযোগী সংগঠন এবং ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই দলীয় কার্যালযে মোতায়েন ছিল পুলিশ। এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এই কর্মসূচি ঘিরে কোনোপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।