বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

চুয়াডাঙ্গায় গাছে গাছে ভরে গেছে সজনে ডাটা

আব্দুর রহমান দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১

চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলার হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন সবজি সজনে ডাঁটা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং প্রাকৃতিক কোনো দূর্যোগ না হওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার সজনে ডাটার উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে হাট-বাজারে এর দামও বেশি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গাছে গাছে প্রচুর সজনে ডাটা ধরায় স্থানীয় হাট-বাজারে প্রচুর আমদানি হচ্ছে । শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ঘরের আনাচে কানাচে, রাস্তার পাশে প্রতিটি গাছে বাদুর ঝুলার মত ঝুলছে সজিনা। সজিনা গাছ অতি পরিচিত একটি নাম। গাছটার বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে মারিংগা ওলেইফেরা। স্থানীয় হাট-বাজার গুলোতে মুখরোচক ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সজনে ডাটার চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। চুযাডাঙ্গার সজনে ডাটা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হচ্ছে। অন্যান্য সবজির চেয়ে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় সজনে যে কোনো বয়সের মানুষ খেতে ভালোবাসে। সজিনা গাছ গ্রাম বাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে অতি পরিচিত একটি নাম। প্রতি বছর শীতের শেষে এই গাছ ফুলে ফলে ভরে যায়। সজিনার ডাটা খেতে অত্যান্ত সুস্বাধুু ও রোগ প্রতিরোধক। তাই বছরের এই সময়টা এলে সকলেই অন্তত এক দিনের জন্য হলেও সজিনার ডাটার তরকারী খেতে ভুল করেনা। চিকিৎসকদের মতে ক্যালোরিয়াম, খনিজ লবণ ও আয়রনসহ প্রোটিনযুক্ত খাদ্য সজনে ডাটাতে পাওয়া যায়। এছাড়া ভিটামিন এ,বি ও সি সমৃদ্ধ সজনে ডাটা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারি। গর্ভবর্তী প্রসূতি মেয়েদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ কারি ও ফলদায়ক বলে ঔষধি সবজি হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও এই গাছের ছাল ও পাতা রক্ত আমাশয় প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা রাখে বলে চিকিৎসকেরা জানায়। দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা শ্যমপুর গ্রামের সালামত হোসেন জানান, আমার ৩টি সজনে গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ১টি গাছের ৫ মন সজনে ৬০টাকা কেজি দরে ১৬হাজার ৮শ টাকা পাইকারি বিক্রয় করি। এতে বিনা পরিশ্রমে ও বিনা পুজিতে ভালো লাভ হয়েছে। দর্শনা বাজারের সজনে বিক্রেতা কামাল উদ্দিন জানান, বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি সজনে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথমে এর দাম চড়া থাকলেও ২-১ সপ্তাহের মধ্যে এর দাম কমে যাবে। সজনে ডাটা প্রধানত দুই প্রকার। এক প্রকার বছরে ১বার পাওয়া যায়। আর রাইখঞ্জন জাতের সজনে ডাটা বছরে দুই থেকে তিনবার বাজারে পাওয়া যায়। সজনে গাছ তৈরি করতে চারা রোপন করতে হয় না। যে কোনো পতিত জমির পুকুর পাড় রাস্তা বা বাড়ির আঙ্গিনায় বা যে কোনো ফাঁকা জায়গায় গাছের ডাল পুঁতে রাখলেই অবহেলা অযতেœর মধ্যেই প্রাকৃতিকভাবে ধীরে ধীরে এর ডাল-পালা বেড়ে গাছ বড় হতে থাকে। এমনকি ডাল পুঁতে রাখার পর একবছরের মধ্যেই ওই সব গাছে সজনে ডাটা ধরতে শুরু করে। বড় মাঝারি এক একটি গাছে ৫-১০ মণ পর্যন্ত সজনে পাওয়া যায়। বিনা পরিশ্রমে, বিনা খরচে অধিক লাভের আশায় অনেকেই সজনে চাষের জন্য আগ্রহী হয়ে উঠছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com