জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পিতার মৃত্যুর প্রায় দুই যুগ পর পৈত্তৃক সম্পত্তি ফিরে পেলেও যবর দখলকারীদের অশুভ চক্রান্তের কবলে পড়ে আবারও বাড়ী ছাড়া এরশাদের শেষ রক্ষা হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঘঠনাটি ঘটেছে উপজেলার সেংগুয়া মধ্যপাড়া গ্রামে। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সেংগুয়া মধ্যপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র মৃত সাগর আলীর ছেলে সরাফত আলী তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে মারা যান। এরপর মৃত সরাফতের স্ত্রী রওশনারা তার দুই সন্তান এরশাদ ও মেয়ে রুপসাকে নিয়ে পিতার বাড়ী ভাটারা ইউনিয়নের কুটুরিয়াগ্রামে বসবাস করেন। প্রায় বিশ বছর পর স্বামীর পৈত্তৃক ভিটা-বাড়ীতে গিয়ে তার স্বামীর সম্পত্তি বুঝে নিতে চাইলে যবর দখলকারীরা আপত্তি করে। এনিয়ে থানা অভিযোগ করা সহ স্থানীয় চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জুয়েল, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যপক আবদুল আওয়াল এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের একাধিক দেনদরবারের মাধ্যমে সাড়ে ৯ শতক জমি ফেরত পান। ফেরত পাওয়া ৬ শতক আবাদী জমি শরাফতের ছেলে এরশাদ তার ফুফু আসমা সুলতানার নিকট ২৫ হাজার টাকায় বন্ধক রাখার শর্তে ১০ হাজার টাকা অগ্রীম গ্রহণ করে বাকী ১৫ হাজার টাকা নিয়ে দেওয়ার কথা বলে চাচা আব্দুল কাইয়ূম এরশাদের কাছ থেকে ৩শত টাকার সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। পরবর্তীতে সুকৌশলে দখলকারী চাঁনমিয়ার সাথে আতাত করে ওই ষ্ট্যাম্প বায়নাপত্রে রূপান্তরিত করে। এরপর চানমিয়ার ছেলে জাকারিয়া বাদী হয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করে। অপরদিকে ফুফু আসমা সুলতানা তার দেওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য কার্টিস পেপারে স্বাক্ষর নিয়ে এরশাদের অজানতেই আরেকটি বায়নাপত্র স্থাপন করে এবং সেও কোর্টে মামলা করে। বর্তমানে দু’টি মামলা কাধে নিয়ে চা বিক্রি করেই যার জীবন-জীবিকা সেই এরশাদ এখন এলাকা ছেড়ে আবারও সেই নানার বাড়ীতেই আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।