করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে যাত্রী তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন চালকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েশ’ মোটরসাইকেল চালক তাদের যান রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শাহবাগ এলাকা অবরোধ করেন রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালকরা।
তবে ১০-১৫ মিনিটের মতো সময় রাস্তা আটকে রাখার পর তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। আগামী রবিবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ডেকে আজকের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন তারা।
মোটরসাইকেল চালকরা জানান, চাকরি না থাকায় সংসার চালাতে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করেন তারা। সরকারের নির্দেশনায় গণপরিবহন চললেও মোটরসাইকেল বন্ধ করে তাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে।
মোটরসাইকেল চালক দ্বীন ইসলাম জানান, রাস্তায় দাঁড়ালেই আমাদের বিনা অপরাধে শুধু শুধু মামলা দেয় পুলিশ। তার ওপর রাইডশেয়ারিং বন্ধের ঘোষণা। আমরা চলবো কীভাবে। চাকরি হারিয়ে আমরা রাইড শেয়ারিংয়ের ওপর নির্ভর করেই পেট চালাই।
অপর এক মোটরসাইকেল চালক জানান, সব যানবাহন চলছে। বি আরটিসির মতো গাড়িতে ডাবল ডাবল যাত্রী নেয়। সেখানে যদি করোনা না ছড়ায় আমরা একজন যাত্রী নিয়ে কীভাবে করোনা ছড়াই। এসব অত্যাচার আমরা মেনে নিতে চাই না। তাই আজ রাস্তায় নামলাম আমরা।
মোটরসাইকেল চালক হাফিজুর জানান, কিছু হইলেই দুই চার হাজার টাকার মামলা দেয়। আমাদের অন্য কোনও আয় নাই। এটা বন্ধ করলে আমরা কী খাবো। আমাদের মোটরসাইকেলের কিস্তি আছে। এগুলো বন্ধ করলে আমরা কীভাবে শোধ করবো।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসস্ট্যান্ডে এসেও বাসে উঠতে না পেরে বিক্ষোভ করেছেন অফিসগামী যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর খিলক্ষেতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। গত সোমবার (২৯ মার্চ) করোনা প্রতিরোধে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। বাসসহ সব গণপরিবহনে অর্ধেক সিট খালি রেখে যাত্রী তুলতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন অফিসও ৫০ শতাংশ জনবলে চালাতে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে বাসের ভাড়া বেড়েছে ৬০ শতাংশ।