বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতা পেলে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে-মাফরুজা সুলতানা সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস হাফেজা আসমা খাতুনের ইন্তেকালে বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির শোক দেশের মেধাবী ও আদর্শবান লোকদেরকে দলে আনার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন: তারেক রহমান গোদাগাড়ীতে টমেটো চাষে ‘নীরব বিপ্লব’ ট্রাম্পের কাছে বাস্তববাদী পদক্ষেপ আশা করছে ইরান ভূমি উপদেষ্টা হলেন আলী ইমাম মজুমদার দিন-তারিখ ঠিক করে সংস্কার করা অন্তর্র্বতী সরকারের কাজ নয়:খন্দকার মোশাররফ রাজনীতিতে স্লোগান নয়, মেধা ও বুদ্ধির প্রতিযোগিতা চলছে: ফখরুল বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে লুৎফুজ্জামান বাবর

সালথায় লকডাউন দেওয়াকে কেন্দ্র করে সরকারি অফিস ও গাড়ীতে অগ্নি সংযোগ পুলিশের গুলিতে নিহত-১ আহত শতাধিক

বেলায়েত হোসেন লিটন সালথা :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১

ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন নিয়ে দ্বায়িত্ব পালন করার সময়  উপজেলায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে থাকা এক সরকারী কর্মচারীর লাঠিপেটায় এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ ও থানা ঘেরাও করেছিলো  স্থানীয়রা জনতা। এছাড়া সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, ইউএনও কার্যালয়সহ আরো কয়েকটি কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি এর গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনতে ও আত্নরক্ষায় পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে হাফেজ যুবায়ের(২০)  নামের এক যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। হাফেজ যুবায়ের উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের আশরাফ মোল্যার পুত্র। এসময় পুলিশসহ শতাধিক লোক আহত হয়। তাদেরকে সালথা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং কিছু সংখ্যক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান। সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে লাঠিপেটায় আহতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মৃত মোসলেম মোল্যার ছেলে মো. জাকির হোসেন মোল্যা বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামণি উপস্থিত হন। জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সহকারী কমিশনারের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তার কোমরে সজোরে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার কোমর ভেঙে যায়।  আহত জাকির হোসেনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে জাকির হোসেনকে আহত করার খবরে সেখানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরও গ্রামবাসী তাদের সাথে যোগ দেয়। এরপর সেখানে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সালথা থানা অভিমুখে রওনা হয়ে থানা ঘেরাও করে। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান আশিক বলেন, সহকারী কমিশনারের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত হতে অনুরোধ জানিয়ে ব্যার্থ হন তিনি। এসময় উপস্থিত জনতা সরকারী অফিস ও গাড়ীতে অগ্নি সংযোগ করে এবং ভাংচুর করে। পরিস্থি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে জীবন রক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ  করলে উত্তেজিত জনতা পিছু হটতে বাধ্য হয়। সালথা পুলিশের সাথে ফরিদপুর ও নগরকান্দা হতে আরো পুলিশ যোগ দেয়। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামণির বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইলে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com