কক্সবাজারের মহেশখালীর পাহাড়ী এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মাদার ট্রি কেটে ফিশিং বোট নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। বনবিভাগের কোন ধরনের অনুমতি ছাড়াই কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাইরার ডেইল জেলে পাড়া সাগর তীরবর্তী জায়গায় এ ফিশিং বোট প্রতিনিয়ত তৈরির কাজ চলছে। এছাড়াও মহেশখালীর অধিকাংশ এলাকায় ফিশিং বোট তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপকূলীয় বনবিভাগের লোকজন এসব দেখেও রহস্যজনকভাবে নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকারি বনায়নের গাছ ও কাঠ ব্যবহার করে অবৈধভাবে এসব ফিশিং ট্রলার তৈরি হলেও ‘রহস্যজনক’ কারণে নীরব ভূমিকায় রয়েছে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন! দীর্ঘদিন ধরে উক্ত স্পটের উপকূল জুড়ে বন নিধনের কয়েকটি সিন্ডিকেট সরকারি বনাঞ্চল থেকে গর্জনসহ বিভিন্ন প্রকার গাছ কাঠ কেটে এসব অবৈধ ফিশিং বোট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, প্রতিবছর বনাঞ্চলের মাতার ট্রি কেটে ফিশিং বোট তৈরির কাজ শুরু করেন কতিপয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও উপজেলার মাতারবাড়ীর ইউনিয়নের সাগরতীরবর্তী এলাকায় ফিশিং বোট তৈরির হিড়িক পড়েছে। স্থানীয় মাতারবাড়ী জেলে পাড়ার বাসিন্দা শের উল্লাহ নামে একজন বোটও মাছ ব্যবসায়ী বনবিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মহেশখালীর সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে মাদার ট্রি সংগ্রহ করে ফিশিং বোট তৈরি করছেন বলে জানাগেছে। অভিযোগ রয়েছে বোট তৈরিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে বনকর্মীদের একটি অলিখিত মোটা অংকের সমঝোতাও হয়েছে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে মাতারবাড়ী সাগরতীরবর্তী একাধিক পয়েন্টে ফিশিং বোট তৈরির কাজ অব্যাহত থাকলেও তা বন্ধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছেন বন বিভাগের লোকজন। যে কারণে সংরক্ষিত বনাঞ্চল দিনদিন মাদার ট্রি শূন্য হয়ে পড়ছে। মাতারবাড়ী উপকূলীয় বনবিট কর্মকর্তা আলতাফ ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জনবল সংকটে থাকায় তিনি ব্যবস্থা নিতে পারছেন বলে জানান। চট্টগ্রাম উপকূলীয় বনবিভাগের গোরকাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিছুল ইসলাম বলেন, মাতারবাড়ী সাগর তীরবর্তী কোন পয়েন্টেই নতুন করে ফিশিং বোট তৈরি জন্য বনবিভাগের পক্ষে থেকেই কোন ধরণের অনুমতি দেয়া হয়নি। সুতরাং এখন যে ফিশিং বোট তৈরি করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অবৈধ। তদন্ত স্বাপক্ষে প্র¯‘তকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।