সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন

কালীগঞ্জে নিষিদ্ধ মাগুর চাষ নোংরা পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

তৈয়বুর রহমান কালীগঞ্জ (গাজীপুর) :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের চরাখোলা এলাকায় গোপনে নিষিদ্ধ হাইব্রীড মাগুর চাষ করে নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত পানি খালে ফালানোর কারণে চাষিরা খালের পানি ব্যবহার করতে পারছেনা। এমনকি ওই সড়ক দিয়ে স্থানীয়রা যাতায়াতের সময় নাকে রুমাল চেপে যেতে হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়-উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চরাখোলা এলাকায় ”সিজন এগ্রো ফার্ম” নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড চুখে পরে। তবে মোবাইল নাম্বারটির শেষ অংশটি নেই। গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখাযায় ৪/৫ টি পোষা কুকুর রয়েছে যা পাহারাদারের ভুমিকা পালন করছে। গেটের ভিতরে ডুকতেই ২টি পুকুর চুখে পড়ে। একটি বড় মাগুর এবং অপরটিতে ছোট পোনা মাগুর রয়েছে। মাগুরের খাবার হিসেবে হোটেলের নষ্ট খাবার, মুরগী, খাশি ও গরুর বৈজ্য, মরা পশু কভার্ড ব্যানের মাধ্যমে এনে পুকুরে দেয়া হয় মাগুরের ঝাক মূহুর্তের মধ্যে সাবার করে দেয়ার চিত্রও চুখে পরে। এমনকি ওই পুকুর থেকে একটি পাইপ খালের সাথে যুক্ত করে মোটরের মাধ্যমে নোংরা পানি সহজে খালে ফেলা হচ্ছে। এলাকাবাসী বলেন- খালটি কৃষি কাজের জন্য পানি সরবরাহ করতে খনন করা হয়েছিল, কিন্তু দুর্গন্ধের কারনে পানি ব্যবহার করাতো দুরের কথা কৃষক খালের ধারেও পৌছতে পারছেনা। যার ফলে কৃষকের ফসলের ব্যপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে এমকি নোংরা পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এ বিষয়ে প্রকল্পের কর্ণধার মো. সাইদুল ইসলামের আইনজীবি এস, বি দেবনাথ বলেন- ২০১৪ সালে তৎকালীন মৎস্য মন্ত্রী স,ম রেজাউল করিম ১৯৫ অনুচ্ছেদে হাইব্রীড মাগুর চাষ অবৈধ বলে গেজেট আকারে প্রকাশ করেন। পরে হাইব্রীড মাগুর চাষ অবৈধ নিষেধাজ্ঞার আইনটির বিরুদ্ধে নিন্ম আদালতে রিট দায়ের করেন। মহামান্য আদালত রিটটি খারিজ করার কারনে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক উচ্চ আদালতে খারিজের বিরুদ্ধে আবার আপিল করেন। যার নং ৬৫/৭৩ যা এখনো শুনানীর জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ আদালতের রায় উপেক্ষা করে ৫/৬ বছর যাবত নিষিদ্ধ মাগুর চাষ করে আসছে। যার ফলে নোংরা র্দূগন্ধযুক্ত পানি ফসলে দিতে পারছিনা। এক সময় আমরা খালের পানিতে গোছল সারতাম এখন কাছেও যেতে পারিনা। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে পরামর্শ প্রদান করেন। তুমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর মিয়া বলেন- নিষিদ্ধ মাগুর চাষের ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয়নি। পরিবেশ ক্ষতিকারক হাইব্রীড মাগুর চাষ বন্ধ হওয়া দরকার। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসা: সাদিয়া রহমান (বিসিএস মৎস্য) বলেন-মৎস্য সংরক্ষন আইনে আফ্রিকান মাগুর চাষ, পরিবহন এবং সংরক্ষণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কালিগঞ্জে এমন ঘটনা ঘটেছে আমার জানা ছিলনা, এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com