হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, হেফাজত দেশের বড় একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। প্রতিষ্ঠার ১১ বছরেও কোনো পার্টির সঙ্গে দলটির সম্পর্ক ছিল না। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়। নাউজুবিল্লাহ, এটা ডাহা মিথ্যাচার। জনগণ এবং সরকারকে আমি বলবো আপনারা এসমস্ত গুজবে কান দেবেন না।
তিনি বলেন, হেফাজত শান্তি-শৃঙ্খলা চায়, কোনো সংঘাতে যেতে চায় না। কোনো পার্টি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নও হেফাজত ইসলামের উদ্দেশ্য নয়। গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া ২০ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় জুনায়েদ বাবুনগরী এসব কথা বলেন।
হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। হেফাজতের যেসব নির্দোষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, রমজানে প্রশাসন হেফাজতের নেতাকর্মীদের ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানি করছে, গ্রেপ্তার করছে। নেতাকর্মীরা ভয়ে বাসায় আসতে পারেন না, সারারাত তাদের বাইরে থাকতে হয়। ইফতার ও সেহরির সময়ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
দেশাবাসী, হেফাজতের নেতাকর্মী, তৌহিদী জনতার উদ্দেশে বাবুনগরী বলেন, আপনারা সবুর করুন, কোনো সংঘাত, ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও করবেন না। হেফাজত জ্বালাও পোড়াওতে বিশ্বাস করে না। বরং হারাম মনে করে। আপনারা সবুর করুন।
তিনি বলেন, আজিজুল হক ইসলামবাদী, জুনায়েদ আল হাবীব ও মামুনুল হকসহ এ পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরবিরোধী হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না দাবি করে ভিডিও বার্তায় তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু বক্তা তাদের বক্তব্যে এ ব্যাপারে বললেও মোদি আসার বিষয়ে হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। অথচ এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ জুমার দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের কোনো কমান্ড ছিল না। আমি নিজে হাটহাজারী মাদরাসায় ছিলাম না। দূরে সফরে ছিলাম। এর আগে, বায়তুল মোকাররমেও কিছু মুসল্লি কেরামের মাজখানে কিছু অঘটন হয়েছে। ক্যাডাররা মুসল্লিদের মারধর করেছে বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে। এরপরে হাটহাজারীর ঘটনা ঘটেছে। যার জন্যে আমরা দুঃখিত। আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে।