শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর এএইচ পি উচ্চবিদ্যালয়ের বর্ধিত করন কাজে ধীরগতি ও নিম্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোদ প্রধান শিক্ষক এ অভিযোগ করেছেন। ঠিকাদার কাউকেই তোয়াক্কা করছেন না। ঠিকাদার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শিক্ষা প্রকৌশলী বলছেন নির্মান সামগ্রী নিয়ে যে সমস্যা ছিল সেটা এখন নেই। বরাদ্ধের অভাবে কাজে কিছুটা ধীরগতি।বরাদ্ধ পাওয়া মাত্র কাজ শেষ করে দিব। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শরীয়তপুর ও চন্দ্রপুর এএইচ পি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকগন জানান, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি শরীয়তপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর এএইচ পি উচ্চবিদ্যালয়ের (দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলা) বর্ধিত করন কাজের জন্য মাদারীপুরের মেসার্স ট্রেড লিংক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবদুস সাত্তারকে ১কোটি ৫১ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সরকার দলীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় কাজের শুরুতেই অত্যন্ত নিম্মমানের নির্মান সামগ্রী (ইট বালু) দিয়ে কাজ শুরু করেন বলে প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন। এ কাজে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাধা দিলে সে কোন তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক বাধা দেয়ায় তাকে হুমকি ধমকি দেয় এবং তার সাথে অশালীন আচরন করে। বাধ্য হয়ে প্রধান শিক্ষক মেহেদী মিজান শরীয়তপুর সদর উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব রহমান সেক কে অবহিত করেন। খবর পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিম¥মানের মালামাল সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়। এ সময় ঠিকাদার প্রধান শিক্ষকের নিকট ক্ষমা চায়। প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হতে চলেছে ধীরে ধীরে সে কাজ করছে। এখনো দরজা ,জানালা ও বিদ্যুৎ, রং করা সহ অনেক কাজ শেষ করেনি। এ কারেনে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রমে চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারকে ফোন করলে সে ফোন ধরেনা। কোন সময় ফোন রিসিভ করে রাগান্বিত স্বরে বলে এত ফোন দেন কেন? কাজ শেষ করার চিন্তাতো আমার। এ ভাবেই চলছে চন্দ্রপুর এএইচ পি উচ্চবিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের কাজটি জরুরী শেষ করা দরকার। এ ব্যাপারে চন্দ্রপুর এএইচ পি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী মিজান বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের বর্ধিত করন কাজ চলছে। এতোই ধীরগতিতে কাজ চলছে দু’বছরেও কাজ শেষ করতে পারেনি। বিশেষ করে ঠিকাদার অত্যন্ত নিম্মমানের মালামাল দিয়ে কাজ করেছে। প্রতিবাদ করলে খারাপ আচরন করে। ধীরগতিতে কাজ করায় শ্রেণী কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছে। জরুরী কাজটি শেষ করা দরকার। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আবদুস ছাত্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি সিডিউল মোতাবেক কাজ করেছি। কোন খারাপ আচরন করিনি। লকডাউনের কারনে সময়মত কাজ শেষ করতে পারিনি। নচেৎ আরো আগেই কাজ শেষ করে দিতাম। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী এটি এম জাহিদ বলেন, আপাতত ফান্ডের সমস্যার কারনে কাজে ধীরগতি।কাজের খারাপ কোন মালামাল নেই। অর্থ বরাদ্ধ পাওয়া মাত্র কাজ শেষ করে দিব।