নওগাঁ রাণীনগর আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ‘চাকরি নাই বেতন আছে’ ও ‘জামায়াত নেতা মাদ্রাসা সুপারের চাকুরী না থাকলেও বেতন আছে’ এমন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় রাণীনগর আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মাদ্রাসার সুপার এ সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন, রাণীনগর আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. শরীফ উদ্দীন মাজহারী। তিনি বলেন ‘চাকরি নাই বেতন আছে’ ও ‘জামায়াত নেতা মাদ্রাসা সুপারের চাকুরী না থাকলেও বেতন আছে’ এমন শিরোনামে দেশের বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় আমাকে জরিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এছাড়াও প্রকাশিত সংবাদে আমাকে জামায়াত নেতা ও জেএমবি আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইহাতে আমাকে ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। আমি কোন রাজনৈতিক দল বা নিষিদ্ধ কোন সংগঠনের সাথে জরিত নাই। তিনি আরো বলেন, গত ইং ১৯৯৪ সালের ০১ জানুয়ারী রাণীনগর আর-আমিন দাকিল মাদ্রাসায় সুপার পদে যোগদান করিয়া দক্ষতা ও সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করিয়া আসিতেছিলাম। এরই মাঝে সাবেক এমপি ইসরাফিল আলমের মদদে এবং স্থাণীয় কিছু কু-চক্রী মহলের যোগসাজসে আমাকে গত ইং ২০১৬ সালের ১৩ই জুলাই রাতের আঁধারে বাসা থেকে তুলে নিয়ে মিথ্যে মামলা দিয়ে জেল-হাজতে প্রেরন করেন। সেই সূত্র ধরে গত ইং ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কোন অনুমোদন না থাকলেও সম্পূর্ন বিধি বহির্ভূতভাবে আমাকে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে সাময়িক সরখাস্ত করা হয়। সাবেক এমপির বিশেষ প্রভাবের কারনে সে সময়ে উক্ত পদে আমার যোগদান করা সম্ভব হয় নাই। পরবর্তিতে আমার সকল কিছু ঠিক থাকার কারনে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পুনরায় গত ১২-০৪-২০২১ইং তারিখে আমাকে স্ব-পদে পুর্ণবহাল করেন। কিন্তু কিছু কু-চক্রী মহল সাংবাদিকদের মিথ্যে ও ভিত্তিহিন তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি ওই প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাণীনগর আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার রফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মামুনুর রশিদ, নুরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, অফিস সহকারী বুলেট হোসেন প্রমুখ।