বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও অধ্যাপক ড. সাহিদা রফিকের রোগমুক্তি কামনায় মেটাংঘর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে পুলিশ বাধা দেয়। তাই গাছতলায় বসে সম্পন্ন হয় ইফতার ও দোয়া মাহফিল। গত শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় ওই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি (তদন্ত) করোনায় লকডাউন চলাকালে স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে তাদেরকে সীমিত পরিসরে দোয়া করতে বলা হয়েছে। তা ছাড়া অন্য কিছু নয়। বাঙ্গরা বাজার থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মামুনুর রশীদ সরকার। কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুম্প্রিম কোর্ট ইউনিটের সদস্য ব্যারিস্টার সরকার এস আর হাসান মামুন, ঢাকা বারের সদস্য এডভোকেট তাছলিমা আক্তার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনাজুল হক, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এমরান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন হাজারী, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন মোল্লা, সহ-দপ্তর সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রাজু, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্র দলের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, কুমিল্লা উত্তর জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম ভুইয়া, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরান আহম্মেদ। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান। সভায় ব্যারিস্টার সরকার এস আর হাসান মামুন বলেন, আমরা মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাস করে দলীয় নেতাদের রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল করাটাও নাকি অপরাধ। তাই পুলিশ আজকে আমাদের বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল করতে দেয় নাই। আমরা তাদের সাথে সংঘাতে না গিয়ে গাছতলায় বসেই বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও অধ্যাপক ড. সাহিদা রফিকের সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া মাহফিল সম্পন্ন করলাম। আজকের এই কর্মর্সচির মতোই আমাদের সামনের কর্মসূচি গুলো অব্যাহত থাকবে। আমাদেরকে বাধাঁ দিয়ে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।