শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি রাসূল (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় শপথবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে—ড. রেজাউল করিম চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় গাজানীতির প্রতিবাদে বাইডেন প্রশাসনের ইহুদি কর্মকর্তার লিলির পদত্যাগ

দের বছর কাজের মেয়াদ পেরিয়ে গেলে নির্মান হয়নি ব্রীজ, চরম দুর্ভোগে ৩০ হাজার মানুষ

শাহীন আহমেদ কুড়িগ্রাম :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ মে, ২০২১

কুড়িগ্রামে ঠিকাদারের অবহেলার কারনে

কুড়িগ্রামে কার্যাদেশ মেয়াদ দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও নাগেশ্বরী পৌরসভার অধিন বালাঘাট ব্রীজর নির্মাণ কাজ আজও শেষ হয়নি। আসন্ন বর্ষার আগে কাজ শেষ না হলে এবারও চরম দুভোগে পড়তে হবে ঐ এলাকার ১১ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের। নাগেশ্বরী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কমিশনার জিয়াউর রহমান জানান, একুশ বছর আগে বানুর খামার-ফকিরের হাট সড়ক পৌর সভার গাদ্ধার, মাছলিয়া ও মছনি বিলর সংযাগ সড়ক নিয়ে বালাঘাট ব্রিজ। এটি ধরে যাতায়াত করে ১১গ্রামের প্রায় ৩০ হাজর মানুষ। গত ২০১৬ সালের বন্যায় ব্রিজটির একাংশ ভেঙ্গে যায়। পরের বছর বন্যার পানির তীব্র স্রাতে তা সম্পুর্ন ভঙ্গে গেলে যোগাযোগ বিছিন হয়ে পড়ে ওই ১১ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের । শীত মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে পায়ে হেঁটে যাতায়াত সম্ভব হলেও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। বর্ষা এলেই আবারো তাদের চড়ম দুভোর্গে পড়তে হয়। এ ব্যপারে নাগেশ্বরী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন অবকাঠামা (২য় ধাপ) প্রকল্পের আওতায় ১০০ ফুট দৌর্ঘ এ ব্রীজটির নির্মাণ কাজটি রংপুরর ঠিকাদার খাইরুল কবীর রানা পায়। কাজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪শ ৬৪ টাকা। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর মধ্য ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সম্পন করার কথা থাকলেও আজও তা ঠিকমত শুরু হয়নি। এতে করে চড়ম দুভোগ পেতে হচ্ছে ঐ ১১ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষকে। নাগেশ্বরী পৌরসভার সাথে কথা হলে তারা জানান এর মধ্য ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে একটি চিঠি দিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্য কাজটি শুরু করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় কার্যাদেশ বাতিল করা হবে। স্থানীয় শাহজাহান, শহিদুল ইসলাম, আব্দুস ছালাম, মাক্তার আলী, সালমন মিয়াসহ এ পথে যাতাযাতকারী অনেকেই জানান দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চড়ম কষ্ট সহ্য করে তারা চলাচল করছেন। এ অর্থ বছরে কাজটি সম্পন না হলে বর্ষা এলে আবারো চড়ম দুর্ভোগে পড়তে হবে তাদের। এ বিষয়ে নাগেশ্বরী পৌরসভার মেয়রের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হবার পড় ব্রির্জটির কাজ হচ্ছে না জানতে পেরে ঠিকাদারকে চিঠি দিয়ে বর্ষার আগেই কাজটি শেষ করতে বলছি, অন্যথায় কোন প্রকার বিল প্রদান করা হবে না। কাজের ঠিকাদার খাইরুল কবির রানার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি কাজটি অন্য ঠিকাদারের নিকট বিক্রি করেছেন। যিনি কাজটি কিনেছেন তার আর্থিক সমস্যার কারনে হয়তো কাজটি করতে পারেন নাই। তবে এখন কাজ শুরু করে আগামী বর্ষার আগে কাজটি শেষ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com