কুড়িগ্রামে কার্যাদেশ মেয়াদ দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও নাগেশ্বরী পৌরসভার অধিন বালাঘাট ব্রীজর নির্মাণ কাজ আজও শেষ হয়নি। আসন্ন বর্ষার আগে কাজ শেষ না হলে এবারও চরম দুভোগে পড়তে হবে ঐ এলাকার ১১ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের। নাগেশ্বরী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কমিশনার জিয়াউর রহমান জানান, একুশ বছর আগে বানুর খামার-ফকিরের হাট সড়ক পৌর সভার গাদ্ধার, মাছলিয়া ও মছনি বিলর সংযাগ সড়ক নিয়ে বালাঘাট ব্রিজ। এটি ধরে যাতায়াত করে ১১গ্রামের প্রায় ৩০ হাজর মানুষ। গত ২০১৬ সালের বন্যায় ব্রিজটির একাংশ ভেঙ্গে যায়। পরের বছর বন্যার পানির তীব্র স্রাতে তা সম্পুর্ন ভঙ্গে গেলে যোগাযোগ বিছিন হয়ে পড়ে ওই ১১ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের । শীত মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে পায়ে হেঁটে যাতায়াত সম্ভব হলেও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। বর্ষা এলেই আবারো তাদের চড়ম দুভোর্গে পড়তে হয়। এ ব্যপারে নাগেশ্বরী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন অবকাঠামা (২য় ধাপ) প্রকল্পের আওতায় ১০০ ফুট দৌর্ঘ এ ব্রীজটির নির্মাণ কাজটি রংপুরর ঠিকাদার খাইরুল কবীর রানা পায়। কাজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪শ ৬৪ টাকা। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর মধ্য ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সম্পন করার কথা থাকলেও আজও তা ঠিকমত শুরু হয়নি। এতে করে চড়ম দুভোগ পেতে হচ্ছে ঐ ১১ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষকে। নাগেশ্বরী পৌরসভার সাথে কথা হলে তারা জানান এর মধ্য ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে একটি চিঠি দিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্য কাজটি শুরু করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় কার্যাদেশ বাতিল করা হবে। স্থানীয় শাহজাহান, শহিদুল ইসলাম, আব্দুস ছালাম, মাক্তার আলী, সালমন মিয়াসহ এ পথে যাতাযাতকারী অনেকেই জানান দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চড়ম কষ্ট সহ্য করে তারা চলাচল করছেন। এ অর্থ বছরে কাজটি সম্পন না হলে বর্ষা এলে আবারো চড়ম দুর্ভোগে পড়তে হবে তাদের। এ বিষয়ে নাগেশ্বরী পৌরসভার মেয়রের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হবার পড় ব্রির্জটির কাজ হচ্ছে না জানতে পেরে ঠিকাদারকে চিঠি দিয়ে বর্ষার আগেই কাজটি শেষ করতে বলছি, অন্যথায় কোন প্রকার বিল প্রদান করা হবে না। কাজের ঠিকাদার খাইরুল কবির রানার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি কাজটি অন্য ঠিকাদারের নিকট বিক্রি করেছেন। যিনি কাজটি কিনেছেন তার আর্থিক সমস্যার কারনে হয়তো কাজটি করতে পারেন নাই। তবে এখন কাজ শুরু করে আগামী বর্ষার আগে কাজটি শেষ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।